// ইয়ানূর রহমান : যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনে চশমা প্রতীকের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কামরুন্নাহার আন্না, গাজীপুর, ছোটঁচড়া এবং বড়আঁচড়ার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে। কামরুন্নাহার আন্নাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিবার্চনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায়, চা-দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের একাধিক মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হলেও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন চশমা প্রতীকের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কামরুন্নাহার আন্না।
পৌর এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কামরুন্নাহার আন্না এর আগে পৌর কাউন্সিলর হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে জনসাধারণের মাঝে সামাজিক ও মানবিক কাজের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে রেখে সেবা প্রদান করে আসছেন। আর তাই সবার সুখে-দুঃখের সঙ্গী হিসেবে তিনি সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছেন। বেনাপোল পৌরবাসী তাকে এবারও ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসাবে পূণরায় দেখতে চান। সমৃদ্ধশালী আধুনিক উন্নয়নশীল মডেল পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি সুস্থ্য, সুন্দর, মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত সাধারণ মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান অসহায় মেহনতি মানুষের বন্ধু চশমা প্রতীকের কামরুন্নাহার আন্না।
ইতিমধ্যেই সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার সামাজিক যোগ্যতা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আত্মীয়তার সম্পর্ক গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে। ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া মহল্লা সর্বত্রই ভোটারদের মুখে মুখে এখন কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন্নাহার আন্নার নাম। তাকে আবারও কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবেও দেখতে চান স্থানীয় বেশির ভাগ ভোটাররা।
বেনাপোল ৮ নং ছোটআঁচড়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আন্না আপা কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে, তিনি সর্বদা আমাদের সুখ-দুঃখের খোঁজ খবর নেন। কোন সমস্যায় পড়লে, তাকে জানালে তিনি দ্রুত সময়ে সেই সমস্যা সমাধান করে দেন। তার কাছে সাহায্য চেয়ে আমরা কখনও বিমুখ হয়নি। তার ব্যবহার ও কাজকর্মে আমরা ওয়ার্ডবাসীরা মুগ্ধ। আমরা আবারও তাকে কাউন্সিলর হিসেবে পেতে চাই।
কামরুন্নাহার আন্না বলেন, ‘৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম, আছি এবং সারাজীবন থাকব। এর আগে, বেনাপোল পৌর নির্বাচন ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড গাজীপুর, ছোটআঁচড়া ও বড়আঁচড়া থেকে সর্বস্তরের জনসাধারণের ভালবাসায় সর্বচ্চো ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে জনসাধারণের সেবা প্রদান করে আসছি। আবারও সকলের দোয়া ও ভালবাসায় পৌর নিবার্চনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। সকলের সহযোগীতায় এবারও বিজয় নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিজয়ী হলে কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে সকল উন্নয়নমূলক কাজ করব। এছাড়া মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, একটি উন্নত ও আধুনিক পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে গড়ে তুলব।’
উল্লেখ্য, বেনাপোল পৌরসভা নিবার্চন আগামী ১৭ জুলাই ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।