// সঞ্জু রায়, বগুড়া: পাওনা ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানি বন্ধু জাকিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় জাহাঙ্গীর হোসেনের। এর জেরে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জাকিরুলকে হত্যা করে সে। হত্যাকাণ্ডের সাত মাস পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (৯ জুলাই) র্যাব-১২ বগুড়া স্কোয়াড কমান্ডার (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর (২২) বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাজবাড়ি গ্রামের মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে। শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নজরুল ইসলাম জানান, বগুড়ার শাজাহানপুরের বাসিন্দা জাকিরুল ধুনটের মজবাড়িতে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। সেখানে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁর। দু’জন ঢাকার আশুলিয়া ইপিজেডে শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেছেন। সে সময় জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেন জাকিরুল। কিছুদিন পর দু’জন ধুনটে ফেরার পর জাকিরুল মুদি দোকান দেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ভালো বন্ধুত্ব থাকায় দোকান থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকার পণ্য বাকিতে নেয় জাহাঙ্গীর। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর জাকিরুলের কাছে পাওনা ৫০০ টাকা ফেরত চায় সে। এ সময় আগে দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে বলেন জাকিরুল। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে জাহাঙ্গীর দোকান থেকে জাকিরুলকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে হত্যা করে।
সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর জাকিরুলের ভাই জাহাঙ্গীর আলম ধুনট থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে আদালতে পাঠানোর জন্য ধুনট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।