// সঞ্জু রায়ঃ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে প্রতি বছরের ন্যায় ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজনে বুধবার ঢাকার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যোগব্যায়াম প্রেমীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভারতে উদ্ভূত যোগের প্রাচীন এ বিজ্ঞান উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছিলেন তারকা অভিনেতা ও খেলোয়াড়সহ নানা শ্রেণীপেশার হাজারো মানুষ।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার হিসেবে যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যোগ আমাদের জনগণের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রচার করে একীভূতকারী শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। আর যোগ হলো এই ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি অনুঘটক।
উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ অনুশীলনকারী ও বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে যোগ অনুশীলন প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীগণের জন্য এ প্রাচীন বিদ্যা ও এটির রূপান্তরমূলক প্রভাব সম্পর্কে তাদের উপলব্ধি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন যোগ অনুশীলনে জড়িত হওয়ার সুযোগ ছিল। এ বছরের যোগ দিবস উদ্যাপনের মূল সুর হলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকমের জন্য যোগ’, যা এই বছর ভারতের জি২০-র প্রেসিডেন্সির সঙ্গে গভীরভাবে অনুরণন ঘটায়। যোগব্যায়াম হলো এমন একটি অনুশীলন যা আধুনিক জীবনের প্রতিকূলতাগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য মানসিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য প্রদান করে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। যোগব্যায়াম ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কার্যকলাপ ও কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। এটি বিগত ৯ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে, এর ফলশ্রæতিতে যোগ সারা বিশ্বে বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য আন্দোলন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।