// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ রাজনগরে হাওর কাউয়া দিঘী আখালী নদী বদ্ধ জলমহাল বন্দোবস্ত (বাংলাদেশ সরকার বাহাদুর হইতে আলিফ যুব মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, গ্রাম : রক্তা, রাজনগর এর সভাপতি রিপন মিয়া‘র অনুকুলে, সন-১৪৩০ বাংলা হইতে সন ১৪৩৪ বাংলা পর্যন্ত ৫ বৎসরের জন্য লীজ প্রাপ্ত) সাবলীজে ভূয়া এফিডেভিট করে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পশ্চিম বেড়কুড়ি গ্রামের মৃত ছালামত আলীর পুত্র আব্দুল মোতালিব এর বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী আলিফ যুব মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড, গ্রাম : রক্তা, রাজনগর এর সভাপতি রিপন মিয়া বাদী হয়ে আব্দুল মোতালিব-কে আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-১৩৫/২৩ইং (রাজ) দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ-কে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে- হাওর কাউয়া দিঘী আখালী নদী বদ্ধ জলমহাল বন্দোবস্থ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করা হলে আলিফ যুব মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড পাঁচ বৎসরের জন্য লীজ প্রাপ্ত হয়। বন্দোবস্থ পাওয়ার পূর্বে আব্দুল মোতালিব এ ব্যাপারে সহযোগীতা করার আশ্বাষ প্রদান করে ২টি স্ট্যাম্পে রিপন মিয়া‘র টিপসই গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২টি স্ট্যাম্প যুক্ত করে তিনি জলমহাল পরিচালনা সংক্রান্ত চুক্তিপত্র (নং-৭৫১ ও নং- ৭৫২, তারিখ ঃ-০৫/০৩/২০২৩ইং) অর্থাৎ সাবলীজ ডকুমেন্ট সৃজন করে ভূয়া এফিডেভিট করেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী রিপন মিয়া অবগত হওয়ার পর গত ২৯/০৫/২০২৩ইং মোঃ সাইফুর রহমান, নোটারী পাবলিক‘এর একই দপ্তরে চুক্তিনামা বাতিল সংক্রান্ত ঘোষনাপত্র (নং- ১৪৮৪, তারিখ ঃ ২৯/০৫/২০২৩ইং,) প্রদান করেন। এবং প্রতিকার প্রার্থনা করে গত ৫ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-১৩৫/২৩ইং (রাজ) দায়ের করেন।