// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট গ্রামে রাতের অন্ধকারে অভিনব কায়দায় সিএনজি গাড়ী চুরি করে পালিয়েছে অজ্ঞাতনামা চুরেরা। ঘটনার ১০দিন পরও গাড়ী উদ্ধার, অজ্ঞাতনামা চুরকে সনাক্ত ও মুঠোফোন- ০৯৬৩৮৭১৭০১১ (নগদ-০১৯৫২-২৪১০১৯) অর্থ আদায়ে জড়িততেদর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি নি পুলিশ। চুরের দল মালিক পক্ষকে গাড়ি ফেরত দেয়ার আশ্বাসে ফোন করে মুঠোফোন- ০৯৬৩৮৭১৭০১১, নগদ একাউন্টে-০১৯৫২-২৪১০১৯) ২০,০০০/ টাকা আদায় করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহ জাহান মিয়া কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুত্রে জানা গেছে- গত ২২ মে রাত অনুমান ১২ ঘটিকার পর থেকে সকাল অনুমান ৭ ঘটিকার মধ্যে বসত বাড়ীর ভিতর থেকে সিএনজি গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায়। ঐদিন সকাল ১০.১০মিঃ অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মুঠোফোনের মাধ্যমে, ০৯৬৩৮৭১৭০১১ ফোন করে জানায় গাড়ীটি ফেরৎ দিতে হলে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে তাদের দাবীকৃত টাকার মধ্যে বর্ণিত নাম্বারে (নগদ একাউন্টে-০১৯৫২-২৪১০১৯) ২০,০০০/ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে গাড়ীট ফেরত না দিয়ে মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেয়। এর পর উক্ত মুঠোফোন মাঝে মধ্যে চালু হলেও বেশিরভাগ সময় বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী শাহ জাহান মিয়াসহ তাদের পরিবারের লোকজন জানান- প্রায় ২০ মাস পূর্বে মৌলভীবাজারস্থ শেখ মটরস হইতে ৩৬মাসের কিস্তিতে সিএনজি গাড়ীটি (মৌলভীবাজার-থ- ১৩-৩৪৬৯) ক্রয় করি। সিএনজি গাড়ী চালানো শেষে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে দেখতে পাই সিএনজি গাড়ীটি যথাস্থানে নাই। ঘটনার আশে-পাশের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলে চুর দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব। তিনি আরো জানান- দেশব্যাপী রয়েছে তাদের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন এলাকাতে রয়েছে তাদের আস্তানা। ঘটনার পর আত্মগোপন কিংবা চোরাই মালামাল লুকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় এসব। অর্থ আদায় পর্যন্ত ধাপে ধাপে নিয়োজিত থাকে তাদের নিজস্ব লোকজন। পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরো জোরালো ভূমিকা পালন করলে সিন্ডিকেট চক্রকে গ্রেফতার করা সম্ভব।এ ব্যপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহসিন বলেন- গাড়ি চুরি রোধ করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চোরদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।