// লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক লক্ষী কান্ত বর্মন মন্দিরের উন্নয়নে রাস্তার দুইপাশে সুপারি গাছ রোপন করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের সম্ভব করেছেন। তিনি জানান, সুপারির বাগানে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে চাষ করতে পারলেই সুপারি বাগান থেকে ভালোই লাভ পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান, আদা, কচু, কলা, হলুদ, সবজি, লেবু, লটকন ও আনারস চাষ করা যেতে পারে। এ জেলার জন্য সুপারির ভালো জাত বেচে নিতে হবে। পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু জমি সুপারি চাষের জন্য আদর্শ। যেকোনও মাটিতে সুপারি চাষ সম্ভব। তবে বেশি ফলন পেতে বেলে-দোঁয়াশ ও পলি মাটি আদর্শ। ভালো জাতের একটি গাছ থেকে বছরে অনায়াসে ৩ হতে ৫ পোন সুপারি পাওয়া যায়।
নার্সারি থেকে চারা কিনে এনে লাগানো যেতে পারে। আবার কৃষক নিজেরাও চারা তৈরি করতে পারেন। তিনি বলেন, এক সময় লালমনিরহাট জেলার কৃষকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ির আশপাশের অল্প কিছু সুপারি গাছ লাগাতেন। এখন লালমনিরহাটে পাকা লাল রঙের সুপারি চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। এর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে সুপারি বাগানে পান চাষসহ উল্লেখিত ফসলগুলো চাষ কর যাবে। এতে বাড়তি অর্থ আয় হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি সকল কৃষকদের বাড়তি আয়ের জন্য সুপারী গাছ লাগানোর পাশাপাশি উল্লেখিত ফসলগুলো চাষাবাদের আহবান জানান।
তিনি জানান, বসতবাড়ীর আশেপাশে, রাস্তার দুই পাশে লাগালে এ গাছে সাথী ফসল হিসেবে সুপারি ও পান চাষ করা সম্ভব হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, লালমনিরহাটের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি ও পান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি ও পান আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়।