// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তির অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি অটোরিকশা, ৩টি বার্মিজ চাকু ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহত সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা ও নানারকম সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাজমুল লাভলু (২৯), হিরুর ছেলে জাকির হোসেন (২৫), সোহেল রানা (৩০), জীবন (২৪), এনামুল হক আমিনুল (৩২), মোঃ জনি (২২) ও মহির মিয়া (৩৮)। তাঁরা সবাই বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। গত রোববার রাতে ও সোমবার ভোরে বগুড়া জেলার সদর, সোনাতলাসহ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ ও ফুলছড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ সোনাতলা থানায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানান। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান,
গত শনিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সোনাতলার গনিয়ারিকান্দি গ্রামে দুুর্বৃত্তরা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে মিলু ফকিরের অটোরিকশা ছিনতাই করে। পরে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় স্থানীয়রা মিলুকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানে রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রের মূলহোতা নাজমুল লাভলুকে বগুড়া শহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের বাকি সদস্যদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পরে তাঁদের বগুড়া জেলার সদর, সোনাতলাসহ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ চক্রের অন্যতম সদস্য মাহির মিয়াকে তিনটি অটোরিকশা, ৩টি বার্মিজ চাকু ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহত একটি অটোরিকশা ও নানারকম সরঞ্জামাদিসহ গাইবান্ধার ফুলছড়ি দক্ষিণ কাঠুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অটোরিকশার মধ্যে মিলুর রিকশাটিও আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালক মিলু বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন। গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় ছিনতাই-মাদকসহ একাধিক মামলা আছে। সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেল) তানভীর হাসান ও সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান উপস্থিত ছিলেন।