// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের মদ পানের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের পর তা প্রত্যাহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
গত সোমবার (২২ মে) স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থী নতুন ভবনের সিঁড়িতে বসে মদপান করে। ঘটনাস্থলে তাদেরকে হাতেনাতে ধরার পর বহিস্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করা হয় বহিষ্কারাদেশ।
দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, গত সোমবার ক্লাস চলাকালে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের তৃতীয় তলার সিঁড়িতে বসে মদপান করছিল অষ্টম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষকরা মদপান করা অবস্থায় হাতেনাতে তাদের ধরে অফিসে নিয়ে আসেন। পরে শিক্ষকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।অন্য অভিভাবকরা শিক্ষকদের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও বহিষ্কৃত ছয় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে এসে হট্টগোল শুরু করেন।পরে ঘটনাটি নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার অভিযুক্ত ৬ শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক
করেন। এ সময় অভিযুক্তরা অনুতপ্ত হওয়ায় তাদের সংশোধনের জন্য বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় ।
প্রধান শিক্ষক জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এদের মধ্যে একজন তিন দিন আগে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে ফিরেছে। এসব অভিযুক্ত ছাত্ররা ক্লাসে ফিরে আসায় সাধারণ ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা শিক্ষকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের ফিরিয়ে আনায় বিদ্যালয়ের সাড়ে আটশ শিক্ষার্থীর মধ্যে এ মরণ নেশার সংক্রমণ হয় কি না সে আতঙ্কও বিরাজ করছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার জানান,সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ছাত্র ও তাদের অভিভাবকরা অনুতপ্ত হওয়ায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা মদ কোথায় পেলো, কিভাবে তারা এ নেশায় আসক্ত হলো তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেই সাথে ভবিষ্যতে যেন এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে
বলে জানান তিনি।