// স্টাফ রিপোর্টার: শিশুদের দ্বারা সারাদেশে ৫ বছরের সংগৃহিত তথ্য নিয়ে ‘আমাদের গল্প’ শিরোনামে রাজধানী ঢাকার বনানীর একটি হোটেল কনফারেন্সরুমে সোমবার দিনব্যাপী ওয়াই মুভস প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী এক আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী শিশুদের অধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন ন্যাশনাল চিলড্রেনস্ টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) এর নেতৃবৃন্দরা। যা শুনে আগামীতে দেশব্যাপী শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইয়েস বাংলাদেশ ও অপরাজেয় বাংলাদেশের আয়োজনে এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও সেভ দ্য চিলড্রেনস্ এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সারাদেশ থেকে অংশ নেয়া শিশুদের ২০ জন প্রতিনিধির মাঝে সরকারের নীতিনির্ধারকগণের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অপরাজিতা হক, সাংসদ জাকিয়া পারভীন খানম মণি ও সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা। এছাড়াও শিশুদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাড: খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আয়েশা নারগিস সিদ্দিকী, প্লান ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (অপারেশন) এ এফ. এম মাঈন, অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু ও ইয়েস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষে দেশব্যাপী অধিকার পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মীর মুহতাসিম তাহমিদ প্রত্যুষ, শিশু গবেষক সংগ্রামী ইলাবর্ষন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমাম আহম্মেদ সাহাবী। শিশুরা বলেন, গত পাঁচ বছর (জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০২১) যাবত দেশব্যাপী এনসিটিএফ এর শিশু গবেষকরা ৫টি গুচ্ছ যথাক্রমে নাগরিক অধিকার এবং স্বাধীনতা, শিশুর প্রতি সহিংসতা, মৌলিক স্বাস্থ্য ও শিশু কল্যাণ, শিক্ষা, অবসর ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং বিশেষ নিরাপত্তামুলক পদক্ষেপসমুহ এর অন্তর্ভুক্ত মোট ১৭টি উপ-গুচ্ছের উপর তথ্য সংগ্রহ করে। উল্লেখ্য যে, ২৫৬ জন শিশু গবেষক এই প্রতিবেদন তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন। শিশুদের দাবিগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো: শিশুদের শারিরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, অনলাইনে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করার প্রক্রিয়া চালু, দুর্গম এলাকায় প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান জন্মনিবন্ধন করার ব্যবস্থা করা, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা আওতায় আনা, শিশু অধিকার লংঘনের অপরাধগুলো যেন বিচারে বিলম্ব না হয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা, খেলার মাঠ নিশ্চিত করা, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুনির্দিষ্ট বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন শিশুরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্যগণসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা শিশুদের এই দাবিগুলো পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।