// আদিতমারী প্রতিনিধি
আদিতমারীতে ভাতিজিকে ধর্ষণ করে জ্যাঠা পলাতক লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ৭ বছরের ভাতিজিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছেন জ্যাঠা জহুরুল ইসলাম ওরফে হলদি জহুরুল (৫০)। রোববার (১৪ মে) জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের ফোনে নির্যাতিত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে থানা পুলিশ। পলাতক জহুরুল ইসলাম ওরফে হরদি জহুরুল উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের টুরুর বাজার এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাত্র ৬ মাস আগে স্ত্রীর মৃত্যু হলে বাড়িতে একা থাকেন জহুরুল হক ওরফে হলদি জহুরুল। বিস্কিট চকলেট দেয়ার প্রলোভনে মাঝে মধ্যে প্রতিবেশি এক ভাতিজিকে(৭) ডেকে নিয়ে বাড়ি পরিস্কার করান জহুরুল। এমনি ভাবে রোববার বিস্কিট দেয়ার কথা বলে ওই ভাতিজিকে ডেকে নিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে জহুরুল। পরে শিশুটির আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় ধর্ষক জহুরুল।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশী সহায়তা দাবি করে। এমন খবরে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক নিজে গিয়ে নির্যাতিত শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিজ গাড়িতে সোজা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটি এখনো পুরোপুরি শ্বঙ্কামুক্ত নয়। পলাতক ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।