// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ার ধুনটে আট বছর বয়সী শিশু মায়দা আক্তার রজনীকে দলবন্ধভাবে ধর্ষণের পর লাশ জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলার ভয়ে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হলেও এই ঘটনা আরও দুজনের সম্পৃক্ততা আছে বলে গ্রেপ্তার কিশোরের বরাতে জানায় পুলিশ তবে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আখতার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধুনটের এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জঙ্গল থেকে শিশু মায়দা আক্তার রজনীর লাশ উদ্ধার করা হয়। অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) আব্দুর রশিদ, শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন ও ওসি ধুনটের নেতৃত্বে ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ ঘন্টার মাঝে লেদ শ্রমিক এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার কিশোর প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। সে জানায় ১০ দিন আগে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রজনীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটি আম কুড়ানোর জন্য এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গেলে ওই কিশোর তার দুই বন্ধুকে নিয়ে রজনীর মুখে চেপে ধরে স্কুলের পাশের গলিতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। শিশুটি তাদের চিনে ফেলায় এবং পরে ঘটনাটি জানাজানির ভয়ে অভিযুক্তরা প্রথমে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং পরবর্তীতে শিশুটির গলা টিপে হত্যা করে বলে জানায় গ্রেপ্তার কিশোর। পরে শিশুটির লাশ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়।
স্নিগ্ধ আখতার আরো জানান, এ ঘটনায় শিশু রজনীর বাবা গাজীউর রহমান তালুকদার বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে নিহত শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শরাফত ইসলাম ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।