জাতীয় ফল খেতে যাদের মানা

গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধুমাস। আর এসময় নানারকম রসালো ফলের মধ্যে প্রথম তালিকায় জাতীয় ফল কাঁঠালের নাম থাকে ওপরে। কাঁঠালে রয়েছে হাই কার্ব। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার আছে এই খাবারে।

তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কাঁঠালের প্রতি লোভ না দেখানোই ভালো। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। যার ফলে দেহে চটজলদি সুগার লেভেল বেড়ে যায়।

গ্রীষ্ম

ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁঠাল খাওয়ায় সতর্ক করে ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার খাদিজা বেগম বলেন, যদি কোনো ডায়াবেটিসের রোগী দিনে পাকা কাঁঠালের তিন চারটি কোষ খান তাহলে ওই দিন অন্য কোনো মিষ্টি ফল খেতে পারবেন না।

এছাড়া তিনি জানান, কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পাচন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয় ফলে আচমকা রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা কমে।

গ্রীষ্ম

পাশাপাশি যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কাঁঠালের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরিশেষে তার মতে কিডনি রোগীদের জন্য কাঁঠাল খাওয়া বারণ। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।