গ্রীষ্ম মানেই ফলের রাজা আমের আগমন। আর ফলের রাজার সুমিষ্ট রসে মুখ রঙিন করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন সবাই। ইতোমধ্যে বাজারে কাঁচা আম চলে এসেছে। পাঁকা আম আসা তো সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে আমের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে।
না, না, আম খেলে ক্ষতি হবে না। আম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল করলে আপনার ক্ষতি হবে। কি সেই ক্ষতি? মূলত আম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আমের সঙ্গে ভুলেও দই খাবেন না
দইয়ের সঙ্গে অনেকেই আম মিশিয়ে খান। মূলত ফালুদার মতোই রেসিপি বানিয়ে খাওয়ার একটি চল আছে। তবে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকর। আমে কিছু উপাদান আছে যা দইয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। গ্যাস তো হয়। আবার ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আম খেয়ে পানি পান করবেন না
কাঁচা আম খেয়ে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করেন। পাঁকা আমের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। আমের উপাদান হজম হয়ে শরীরে মিশতে সময় লাগে। আম খাওয়ার আধঘণ্টা আগেই পানি পান করে নেন। আম খাওয়ার পর পানি পান করলে পেটে ভয়াবহ এসিড হতে পারে।
আম খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখুন
গ্রামে এই চল ছিল অনেক। গাছ থেকে আম পাড়ার পর মালসায় আম ডুবিয়ে রাখা হতো। পানিতে ভেসে থাকা আমগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগতো। এখন অবশ্য সবাই ফ্রিজে আম রাখেন। কিন্তু এমনটা করবেন না। আম কিনে বা নিজেদের গাছ থেকে পারলেও ভিজিয়ে রাখুন। বিশেষত খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখুন। আমে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড শরীরের জন্য হানিকারক। এটিও পেটে অ্যাসিডের যন্ত্রণা বাড়াতে পারে। তাই আম খাওয়ার ৪-৫ ঘন্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
রাতের খাবারের পর আমের লোভ নয়
আম এমনিতে খুব ভারি ফল। রসালো হলেও এই ফল বেশ ভারি। আমে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেশি থাকায় রাতের খাবারের পর আম খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত ক্যালরি হজমে সমস্যা করে। তাছাড়া ওজন বাড়ার একটা শঙ্কা থাকে। বিকেলে বা সন্ধ্যায় আম খান স্ন্যাক হিসেবে। সকালেও নাস্তার সঙ্গে আম খেতে পারেন। কিন্তু রাতের খাবারের পর আম খাবেন না।