// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পানি শূন্যতার কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়া সহ নান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নদী,পুকুর,খাল,বিল সহ জলাশয় গুলো শুকিয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে এলাকায় নলকূপে পানি উঠার খবর পাওয়া যাচ্ছে ওই এলাকায় অন্য এলাকার মানুষ পানি নেওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অসংখ্য হস্তচালিত নলকূপ গুলো অকেজো হয়ে গেছে। ফলে এলাকা গুলোতে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। আর জলাশয় গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির পাশাপাশি দৈনন্দিত কাজ সহ ফসলি জমিতে ব্যবহারের পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ৫৪ হাজার হস্তচালিত অগভীর নলকূপ আছে। যা সাধারণত পানির স্তর গড়ে ২৫ থেকে ২৭ ফুট গভীরে পৌঁছলে পানি উঠে থাকে। কিন্তু তীব্র তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ায় বেশির ভাগ এলাকায় অস্বাভাবিক ভাবে পানির স্তর ৩২ ফুট নিচে নেমে যাওয়ায় বেশির ভাগ এলাকায় হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। মতামত,বাওড়া গ্রামের গৃহিণী সৈয়দা আয়েশা সিদ্দিকা জানান,টিউবওয়েলের পানি ঠিক ভাবে না উঠায় সংংসারের দৈনন্দিত কাজে ব্যবহারের পানি তুলতে দুই হাতের কব্জি ব্যাথা হয়ে গেছে। গৃহিণী রওশনারা জানান,আমাদের টিউবওয়েলে পানি উঠচ্ছে না। দিয়াড় সংকরপুর চরের গৃহিণী মনোয়রা বেগম জানান,আমাদের বাড়ীর চাপ কলে ১ গ্লাস পানি উঠছে না। তাই অন্যদের গভীর নলকূপ থেকে পানি এনে সংসারের পানির চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। মোহরকয়া চরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,পানির অভাবে ফসলি জমিতে সেচ দিতে পাচ্ছি না। গোপালপুর পৌরসভা এলাকার ছাগল হাটে অবস্থিত চা বিক্রেতা রানা বলেন, পানির সংকটের জন্য দুই দিন চায়ের দোকন খোলতে পারিনি। এবিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন আহমেদ বলেন, টানা খরা এবং অনাবৃষ্টি সহ পরিবেশগত নানা কারণে পানির সংকটরের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপন করা সাবমারসিবল পাম্প ও অগভীর নলকূপে পানির সমস্যা নেই।