// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ায় অস্বাস্থ্যকর ও অনুমোদনহীন প্রক্রিয়ায় অবৈধ শিশুখাদ্য তৈরির দায়ে জারিন এগ্রো ফুডস্ জুস কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে শহরের কৈগাড়ি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনহীন বিভিন্ন রং ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জুস উৎপাদন করে আসছিলো। শুধু তাই নয় ঈদকে সামনে রেখে এসব মানহীন জুস ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদন করে তা বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেগুড়ে বালি দিয়ে আকষ্মিক অভিযানে সংশ্লিষ্টরা প্রায় ১ হাজার কেজি অবৈধ এইসব পণ্য নষ্ট করাসহ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন।
অভিযানের সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া শহরের কৈগাড়ি এলাকার জারিন এগ্রো ফুডে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জারিন এগ্রো ফুডস্কে অবৈধ প্রক্রিয়ায় শিশুখাদ্য জুস প্রস্তুতের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কোন অনুমোদন না থাকায় সিলগালা দিয়ে বন্ধসহ ১ হাজার কেজি প্যাকেটজাত জুস ধ্বংস করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলাম জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। অভিযানে র্যাব-১২ বগুড়ার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সহযোগিতা করেন। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে অস্বাস্থ্যকর এইসব খাদ্য শিশুদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানান অভিযানে উপস্থিত জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: রাসেল। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে নিজেদের অজান্তেই সাধারন মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আর এর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শিশুদের উপরে। ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর এই খাবারের কারণে শিশুদের কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পরছে যা সত্যিই মেনে নেওয়া যায়না। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তাদের সাধ্যমতো তারা অভিযান চালাচ্ছে তবে সাধারণ মানুষকে তিনি সচেতন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।