// আব্দুল জব্বার ,পাবনা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাট নদী বন্দরের ড্রেজিংকৃত বালু অবাধে বিক্রি চলছে। খোদ স্থানীয় সংসদ সদস্যের নামে এইসব বালু বিক্রি করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী- ড্রেজার দ্বারা ড্রেজিংকৃত বালু মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, কবরস্থান ও স্কুল-কলেজে বিনামূল্যে দেয়ার কথা উল্লেখ্য থাকলেও প্রকাশ্য দিবালোকে বালু বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বসতবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে।
জানা গেছে, পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের নামে জনস্বার্থে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণের জন্য অনুমোদন দেয় বিআইডব্লিউটিএ। অনুমোদন পাওয়ার পরই রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম মোহনের ছেলে আমিরুল ইসলাম শাহীনকে বালু বিতরণের জন্য তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেই বালু বিনামূল্যে বিতরণ না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। রীতিমতো স্লিপ দিয়ে প্রতি সিএফটি (ঘনফুট) ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বালু। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র উল্লেখিত ৫টি শর্তের কোনটিই মানা হচ্ছে না। বালুর গাড়িগুলো ঢাকনা ছাড়াই খোলা অবস্থায় পরিবহণ করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
কাজিরহাট ঘাটের নৌ-পুলিশের কার্যালয়ের মাত্র কয়েক মিটার মধ্যেই এমন কর্মযজ্ঞ চললেও রহস্যজনকভাবে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে না। এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ নৌ-পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্টরা। এবিষয়ে যোগাযোগ করেও এমপির নিয়োগকৃত প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম শাহীনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গতবছর মাসের পর মাস সেখানে এই বালুগুলো বিক্রি করা হয়েছিল, তখন আপনারা (গণমাধ্যম) কোনও খোঁজখবর নেননি। কিন্তু এবার বালু বিক্রি কয়েকদিনের মধ্যেই আপনারা চলে আসলেন। তারপরও আপনারা যেহেতু অভিযোগ দিলেন আমরা বিষয়টি খোঁজখবর করে দেখবো। কারণে এখানে বিক্রির সুযোগ নেই। হয়তো লোড-আনলোডিংয়ের খরচটা দিতে হয়।’
এ ব্যাপারে পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সবুর আলী বলেন, বিনামূল্যে বিক্রি কথা থাকলেও বিভিন্ন ব্যক্তি সেটা অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রি করছে এমনটা আমরাও শুনেছি এবং যথাযথ ভাবে সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।