চাটমোহরে রড দিয়ে পিটিয়ে যুবকের মাথা ফাটালো পুলিশ  

// চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

ভাড়া বাড়ির সিড়ি ঘরে রাখা মোটরসাইকেল সড়াতে বলায় পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশের সদস্য সিরাজ উদ্দিন লোহার রড দিয়ে মারধোর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিকের ছোট ভাই মকবুল হোসেনের। মকবুল হোসেন চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল (টলটলি পাড়া) গ্রামের মৃত শফি প্রাং এর ছেলে।

শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে চাটমোহর পৌর সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মহিত কলোনী এলাকায় মকবুলের প্রবাসী বড় ভাই সবেদ আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মারধোরের পর মকবুলকে থানায় নিয়ে বসিয়েও রাখেন পুলিশ সদস্য সিরাজ।

ভূক্তভোগি মকবুল হোসেন জানান, আমার প্রবাসী ভাইয়ের চাটমোহর পৌর সদরের বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন পুলিশ কনস্টবল সিরাজ। আমার ভাই দেশে না থাকায় বাড়িটি আমি দেখাশুনা করি। পৌর সদরের এ বাড়িটিতে আমাদের কিছু নির্মাণ সামগ্রী রাখা ছিল। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে (টলটলি পাড়া) কিছু সিমেন্ট নেওয়ার জন্য আমি পৌর সদরের এ বাড়িতে আসি। সিড়ি ঘড় হয়ে সিমেন্ট বের করতে হবে বিধায় আমি কিছু সময়ের জন্য সিড়ি ঘরে রাখা পুলিশ সদস্য সিরাজের মোটরসাইকলটি সড়াতে বলি। এতে বিরক্ত হয় পুলিশ সদস্য সিরাজ আমাকে বকাবকি করতে থাকে। আমি বকাবকির প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্য সিরাজ আমাকে লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট শুরু করে। মারপিট করার পর আমাকে থানায় নিয়ে যায়।

মকবুলের চাচা আব্দুল মজিদ হাজি জানান, মকবুলকে মারপিট করার পর চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে থানায় নিয়ে রেখেছে শুনে আমি থানায় যাই। বিষয়টি সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেলকে) জানানোর পর আমি আমার ভাতিজাকে পাবনা নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে মকবুল। মকবুলের মাথা ফেটে গেছে। মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের আঙুলেও আঘাত পেয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য কি করে এমন কাজ করতে পারল সেটিই ভাববার বিষয়।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টবল সিরাজ জানান, মকবুল হোসেন একবার সকাল সাতটার দিকে ডাকা ডাকি করলে আমি গেট খুলে দিয়ে ঘুমাতে যাই। নয়টার কাছাকাছি সময়ে সে এসে আবার ডাকাডাকি শুরু করলে আমি গেট খুলে দেই। সে বার বার দ্রæত মোটরসাইকেল সড়াতে বলে। এক পর্যায়ে বলে ভাল না লাগলে বাসা ছেড়ে দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে বলে, আপনি ক্ষমতার গরম দেখাচ্ছেন। এসময় কাঠের বাটাম দিয়ে তাকে মারি আমি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। 

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম জানান,আমি একটি প্রশিক্ষণে আছি। বিষয়টি শুনেছি তবে বিস্তারিত জানি না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।