// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
বাংলাদেশে বর্তমানে ১ লাখ টন চিনি ও ৫ লক্ষ টন গুড় উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি বছর চাহিদা ২০ লাখ টন। ১৪ লাখ টন চিনি উৎপাদনে আমরা পিছিয়ে আছি। নানাবিধ কারণে এ শিল্পে আশানুরুপ গতি দেখা যায়না। তবে এ শিল্পকে গতিশীল করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। আখ শিল্পকে গতিশীল করতে সরকার সাথী ফসল প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের স্বাবলম্বি করার চেষ্টা চলছে। এর ফলও আমরা পাচ্ছি। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় এখন প্রচুর আখ চাষ হচ্ছে। তবে প্রধান কাজ হলো কৃষককে সবসময় লাভবান অবস্থায় রাখতে হবে। কৃষকের নিজ শক্তির ভীত গড়ে দেয়া এবং প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারকারী হিসেবে গড়ে তোলা। আর এর জন্য সরকারের পাশাপাশি কৃষককে তার নিজ ইচ্ছা শক্তি বাড়াতে হবে। শনিবার (৮ এপ্রিল) শনিবার ঈশ্বরদীস্থ বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘‘বার্ষিক গবেষণা প্রোগ্রাম ২০২২-২০২৩ পর্যালোচনা কর্মশালায় (অভ্যন্তরীণ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. ওমর আলী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (টিওটি) ইসমৎ আরা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (গবেষণা) ড. কুয়াশা মাহমুদ।
ড. ওমর আলী আরও বলেন, শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুদের মেধাবী করে গড়ে তুলতে হলে তাদের পরিমাণ মতো সুষম খাদ্যে দুধ, ডিম ও মিষ্টি জাতীয় খাবার দিতে হবে। চিনি ও গুড় এদেশের প্রধান মিষ্টি জাতীয় খাবার। চিনি ও গুড় থেকে তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাবার শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, চলাফেরা করার জন্য সবল, রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর প্রয়োজন। মিষ্টি জাতীয় খাবার প্রত্যেক মানুষের জন্য অপরিহার্য। এদেশে মিষ্টি জাতীয় খাবার উৎপাদনের জন্য আখের চাষাবাদ বাড়াতে হবে।
ড. কুয়াশা মাহমুদ বলেন, দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সুস্বাস্থ্য জন্য বছরে ১৩ কেজি মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হয়। সে অনুযায়ী এদেশে চিনি ও গুড়ে চাহিদা ২০ লাখ টন। এদেশে এক লাখ টন চিনি ও গুড় ৫ লাখ টন গুড় উৎপাদন হয়। মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আখ ও মিষ্টি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় বিজ্ঞানীদের বক্তব্যে জানা যায়, বিএসআরআই এ পর্যন্ত ৪৮টি জাতের আখের জাত উদ্ভাবন করেছে। আখের ফলন বাড়াতে হলে উঁচু ও ভালো ফলনশীল জমিতে আখের আবাদ করতে হবে। আখের জমিতে সাথী ফসলের আবাদ করতে হবে। সাথী ফসলে আখের সাথে আলু, পিঁয়াজ, রসুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি ডাল, তেল ও মশলাজাতীয় ফসল চাষ করা হয়ে থাকে। যাতে আখ চাষ লাভবান হয়।
কর্মশালায় বিএসআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন।