ঈশ্বরদীতে মসজিদের ৭ মেহেগনি গাছ কাটলেন সাবেক সভাপতি

// ঈশ্বরদী(পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে মসজিদ আঙিনায় লাগানো ৭টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঈশ্বরদীর জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয়রা জানান, জয়নগর গ্রামের আকবর আলী মোল্লার সহধর্মীনি হামিদা বেগম ২০১৩ সালে মসজিদ নির্মাণের জন্য ১২ শতক জমি দান করেন। জমিতে বায়তুল নূর জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদ নির্মাণের পর থেকে আকবর আলী মোল্লার ছেলে প্রভাষক হাফিজুর রহমান মোল্লা এ মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রায় ৭/৮ মাসে আগে স্বেচ্ছায় তিনি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন।  সম্প্রতি নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই মসজিদের জমি ও ইমামের থাকার ঘর নির্মাণ নিয়ে  হাফিজুর রহমান মোল্লার সাথে বর্তমান কমিটির সম্পর্কের অবণতি হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন মল্লিক জানান,হাফিজুর রহমান মোল্লা শুক্রবার মসজিদের জমি মাপার জন্য সার্ভেয়ার ডেকে আনেন। একতরফা জমি মেপে তিনি মসজিদের ৭টি মেহগনি গাছ কেটে দেন। এ গাছগুলোতে ৪-৫ বছর আগে লাগানো হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, আমিসহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা গাছগুলোতে না কাটার অনুরোধ জানালেও তিনি শুনেননি। জোরপূর্বক গাছগুলো কেটে দেন। মসজিদের গাছ কাটার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হুসাইন বলেন, জমি মাপার পর মেহগনি গাছগুলো যদি হাফিজুর মোল্লার জমিতে হয়ে থাকে, তাহলে সে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতো পারতো। কারো সাথে কোন কথা না বলে গাছগুলো কেটে দেয়া উচিত হয়নি। এ জমি হাফিজুর মোল্লার একার নয়, অন্য ভাইদেরও অংশিদারিত্ব রয়েছে বলে জানান। তাদের সাথে মসজিদ কমিটির কথাবার্তা চলছে, প্রয়োজনে তাদের কাছে থেকে এ জমি মসজিদ কমিটি কিনে নিবে। গাছ কাটার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।  

অভিযুক্ত মুলাডুলি কলেজের প্রভাষক হাফিজুর রহমান মোল্লা বলেন, মসজিদ কমিটি নিয়ে আমার কোন বিরোধ নেই। স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। কমিটি ইমাম সাহেবের থাকার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। ঘরটি আমার জমির ওপরে নির্মাণ করা হলেও আমাদের অনুমতি নেয়া হয়নি। শুক্রবার সার্ভেয়ার এনে জমি পরিমাণ করে দেখা যায় ইমামের থাকার ঘরসহ মেহেগনি গাছগুলো আমার সীমানায় পড়েছে। ইমাম সাহেবের ঘরের জায়গা ছেড়ে দিয়ে উপস্থিত সবার সাথে আলোচনা করে মেহগনি গাছ কেটে দিয়েছি। মেহগনি গাছগুলো আমার লিচু গাছ বেড়ে উঠার জন্য ক্ষতিকর ছিল। গাছকাটার এ বিষয়টি নিয়ে তারা অপ্রচার চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রয়োজনে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।