// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ বড়লেখায় “বোবারথল” পরগনার ৪,৪০,০০০ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, সিলেট এর অধীনে ৫৫টি জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে। অবশেষে প্রায় ৯শত পরিবারের হাজার হাজার নাগরিক ও “বোবারথল ভূমির অধিকার বাস্তবায়ন কমিঠি”র আন্দোলনে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। তামাদি মোদ্দতের বহু উর্দ্ধকাল যাবত প্রায় ৫ যুগ ধরে (৬০ বছর) এলাকায় বসতবাড়ী তৈরি করে ভোগদখল ও শাসন সংরক্ষণ করে বসবাসকৃত জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে ভূমি রেকর্ড ও জরিফ অধিদপ্তরের নির্দেশে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, সিলেট এর কর্মকর্তাবৃন্দ গত ১৩ ও ১৪ মার্চ “বোবারথল” পরগনা পরিদর্শন করেন এবং জরিফ কাজের সুবিধার্তে দূশ্যমান স্থানে জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপন কাজ শুরু করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বড়লেখা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সনদ কুমার নাথ, দিরাই সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেম, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আলী আজম, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আমিন, ও সিলেট সার্ভেয়ার ইদুন নবী, শাহবাজপুর চা-বাগানের ম্যানেজার নুরুজ্জামান, জেনারেল ম্যানেজার আলী আহমদ, “বোবারথল ভূমির অধিকার বাস্তবায়ন কমিঠি”র সভাপতি আঃ রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, “বোবারথল” এর বিশিষ্ট সমাজসেবক শহিদ খাঁন, গান্দাইল পান পুঞ্জির প্রধান রাজেশ মন্ত্রী, ডাঃ জালাল উদ্দিন, তৈমুছ আলী মাষ্টার, প্রবীন মুরব্বি ফখর উদ্দিন,সাবেক ইউপি মেম্বার তাজ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে বড়লেখা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সনদ কুমার নাথ জরিফ কাজের সুবিধার্তে দূশ্যমান স্থানে জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপন কাজের সত্যতা স্বীকার করেন। “বোবারথল ভূমির অধিকার বাস্তবায়ন কমিঠি”র সভাপতি আঃ রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন- বড়লেখায় শাহবাজপুর চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক “বোবারথল” এর নিরহ জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও বস্তিবাসীদের বেআইনী ভাবে উচ্ছেদ করার ষড়যন্তে লিপ্ত রয়েছেন। এসব বিষয়ে নিরহ জনগণ দীর্ঘদিন যাবৎ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অঙ্গিকার, ভূমির অধিকার সবার, ভূমির অধিকার ফিরিয়ে দাও, দিতে হবে সহ বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদীয় প্যাডে উক্ত ডিজিটাল ভূমি জরিফ কাজ শুরু করার জন্য মহা-পরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিফ অধিদপ্তরে লিখিত সুপারিশ করেন। উল্লেখ্য- বোবারথলে ১টি ভোট কেন্দ্র, বিজিপি কেন্দ্র ১টি, এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩টি, ২টি দাখিল মাদরাসা, ৫টি হাট-বাজার, ২টি খ্রিস্টান মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি জামে মসজিদ, ৪টি খাসিয়া গির্জাসহ ৪হাজার ভোটারসহ ১১টি গ্রামের, ৯শত পরিবারের হাজার হাজার স্থানীয় নাগরিক তামাদি মোদ্দতের বহু উর্দ্ধকাল যাবত প্রায় ৫ যুগ ধরে (৬০ বছর) এলাকায় বসতবাড়ী তৈরি করে ভোগদখল ও শাসন সংরক্ষণ করে বসবাস করে আসছেন।