নাটোরে বিদ্যালয়ে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তের দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অফিস সহায়ক রুবেল হোসেন কর্তৃক ১ম শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু এক আদিবাসী শিশুর মাকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে ও চাকুরিচ্যুত করাসহ অভিযুক্তের দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ লাকড়া, সাধারণ সম্পাদক কালিদাস রায়, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি বাবুল পাহান, সাধারণ সম্পাদক শ্যামলাল তেলী, বড়াইগ্রাম উপজেলা সভাপতি যাদু কুমার দাস, গুরুদাসপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাধাই মুন্ডা প্রমূখ। এসময় বক্তরা বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে অভিভাবক ধর্ষণ চেষ্টা অত্যন্ত সংবেদনশীল, জঘন্যতম ও ন্যাক্কারজনক কাজ। বিদ্যালয়ে অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে চাকুরিচ্যুত করা সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনশেষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। পরে তিনি ভুক্তভোগী আদিবাসী নারীর পরিবারের যাবতীয় খোজ খবর নেন ও তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী জানান, অভিযুক্ত রুবেল হোসেনকে সাসপেন্ড করার সহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই আদিবাসী নারী তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে নিয়ে যান। ভর্তির পর অফিস কক্ষে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে অফিস সহায়ক রুবেল ওই নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসার আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রুবেল। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারী বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।