ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদী পিজিসিবি উচ্চ বিদ্যালয়েরর শিার্থীদের স্কুলে যাওয়াার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি পরিবারের কয়েকজন ব্যক্তি । রবিবার (৫ মার্চ) ২০২৩ জয়নগর পিজিসিবি স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি কাটাতারের বেড়া এবং গাছ দিয়ে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে বাধা দেয় আফজাল ও ইঞ্জি: সিরাজুল ইসলাম পরিবারের কয়েকজন ব্যক্তি। সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর পিজিসিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের গেট অর্থাৎ হাজীপাড়া যাওয়ার রাস্তা বন্ধের ঘটনায় এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, আতিয়ার রহমান প্রামাণিকের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও আফজাল প্রামানিক জোরপূর্বক স্কুলে যাওয়ার রাস্তা গাছ ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। এতে স্কুলের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে না পেরে তাৎণিক ভাবে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দ্রুত স্কুলের গেটটি এবং রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবী জানান।
খবর পেয়ে সলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা ও ঈশ্বরদী থানার এস আই সোহেল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় তারা কাঁটাতারের বেড়াা ও গাছ উপড়ে ফেলে ছাত্র-ছাত্রীতে চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেন।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে পাতা খাতুন, সাহাবুল ইসলাম, মনজুর রহমান বাবলু, মিনারুল ইসলাম, রেখা ঘোষসহ অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এ রাস্তা দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যেত। কিন্তু আজকে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় আফজাল ও সিরাজুল ইসলাম । চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, স্কুলের রাস্তা বন্ধ করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা, রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট দিয়ে করিয়েছি, যাতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সুবিধা হয়।
পিজিসিবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, আমার স্কুলের প্রায় অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রী এ গেট দিয়ে জয়নগর হাজিপাড়াা হয়ে স্কুলে আসে । কিন্তু হঠাৎ করে আজকে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় কতিপয় ব্যক্তি।
নাম প্রকাশ না করার সত্বে একাধিক শিক্ষক জানান, সহকারী শিক্ষক হিসেবে শফিকুল ইসলাম নামের ব্যক্তি অত্র স্কুলে চুক্তিভিত্তিক ছয় মাসের জন্য চাকরি করেছিল। পরবর্তীতে সার্কুলার হলে শফিকুল ইসলাম পরীায় অকৃতকার্য হওয়ায় আর চাকুরী করতে পারেননি। এরই রেশ ধরে রাস্তা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবী করেন।
ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম ও আফজাল প্রামানিক জানান, ওই স্কুলে আমার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম চাকরি করা অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে আমার নিজস্ব জমিতে রাস্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। পিজিসিবি কর্তৃপ আমার ভাইকে দিয়ে চাকুরী করানোর পরও চাকরি স্থায়ীকরণ না করে এমনকি কোন বেতন না দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই স্কুলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেই । চাকরি বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান আছে বলে জানান তিনি। ##