// পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় সংখ্যালঘুর পাকা দেয়াল ভেঙে জোর করে জমি দখল করে নিয়েছেন এক প্রভাবশালী। এতে বাধা দেয়ায় ভুক্তভোগী সংখ্যালঘুকে হত্যা ও দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে ফরিদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী লিটন কুমার কুন্ডু। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুর পৌর এলাকার গোপালনগরের হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড সদরের সংখ্যালঘু মৃত নিতাই চন্দ্র কুন্ডুর ছেলে লিটন কুমার কুন্ডু পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। সম্প্রতি প্রতিবেশি মৃত আবু শামা শাহের ছেলে রবিউল ইসলাম ও মো. রকিবুল ইসলাম নিজেদের জমি দাবি করে দখলের চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দেয়ায় ফরিদপুর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাপ হোসেনের অনুসারীদের নিয়ে এসে হুমকি ধামকি দেন। এতেও কাজ না হলে গত মঙ্গলবার সকালে তারা সংখ্যালঘু কুণ্ডুর বসত বাড়িতে এসে জোরপূর্বকভাব ইটের ওয়াল ভেঙে ফেলে দেন এবং দড়ির টাঙিয়ে জায়গা দখল করে নেয়। এসময় লিটন কুমার কুন্ডু তাদেরকে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরান বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এমনকি দেশ থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি দেন। এসময় লিটন কুমার কুন্ডুকো মারপিট করার চেষ্টা করেন। শুধু লিটন নয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আশপাশের সংখ্যালঘুর জায়গা-জমি দখলেরও অভিযোগ আছে।
ভুক্তভোগী লিটন কুমার কুন্ড বলেন, মঙ্গলবার হঠাৎ করে আমার বাড়ির দেয়াল ভেঙে দিয়ে জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করার চেষ্টা করলে প্রাণভয়ে অন্যত্র চলে যাই। ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের কিছু অনুসারী ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাপ হোসেনের ছেলের ছত্রছায়ায় এই পরিবারটি আমাদের উপর বিভিন্ন সময়ে প্রভাব বিস্তার করে চলে আসছে। তাদের ক্যাডার বাহিনীও বিভিন্ন সময়ে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জায়গার ওপর তারা দেয়াল তুলে ভোগদখল করছিল। আমি বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানিয়েছিলাম। পৌর মেয়র এসে আমাকে জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর বলেছেন এটা পরিষ্কার করে নিতে তাই দেয়াল ভেঙে আমার জায়গা আমি নিয়েছি। কিন্তু হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই দুই পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মেয়র সাহেব মিমাংসা করে দিয়েছিলেন। পরে যে সমস্যা হয়েছে এটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’