প্রতারণা‘র মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে কুষ্টিয়া‘র তন্নি সিন্ডিকেট চক্র

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ লন্ডনে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাসরত মৌলভীবাজারের এক অবিবাহিত যুবকের কাছ থেকে রূপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে প্রেমের ফাঁদে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কুষ্টিয়া‘র তন্নি (২৬) সিন্ডিকেট চক্র। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে- এক সন্তানের জননী মোছাঃ তন্নি আক্তার ওরফে অনু। বর্তমানে কুমিল্লা, সদর রসুলপুর, কতোয়ালী থানা নিবাসী মোঃ সাইফুল ইসলামকে ২নং বিয়ে করে ২য় স্বামীর ঘর-সংসার করছে। তিনি কুষ্টিয়া‘র, ১১/৬, আতাউর রহমান খলিল, লেন নতুন কোর্টপাড়া নিবাসী কাজী মাহফুজুর রহমান ও মোছাঃ চম্পা বেগম এর কন্যা। প্রতারণার শিকার মৌলভীবাজারের ধনাঢ্য পরিবারের লন্ডনী যুবক জানান- প্রায় ৪ বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় মলি ও মনিরার মাধ্যমে (কুষ্টিয়া‘র তন্নি সিন্ডিকেট চক্র‘র দেওয়া নাম অনুসারে)। কিছুদিন কথা বলার পর দুই বান্ধবী পরিচয় করে দেন তাদের সহযোগী সুন্দরী মোছাম্মদ তন্নি আক্তার অনু এর সাথে। এর পর শুরু প্রতারণা। তিনি আরো জানান- মিষ্টি মিষ্টি কথায়, প্রেমে পড়ে যাই। সহজ-সরল ভাবে তন্নিকে বিশ্বাস করে আজ আমি নিঃস্ব। সে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুতে দিনরাত কথা বলত, আপত্তিকর ছবি আদান প্রদান করত। বিভিন্ন প্রয়োজন দেখিয়ে, MST. TONNY AKTER,, নিজ নামীয় একাউন্ট নং- ১৬৮১৫৮০০১৬০৯৭, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, কুষ্টিয়া ব্রাঞ্চ ) শাখা, তার ব্যবহৃত বিকাশ নাম্বারে (০১৩০২-৪৯৩৮৫৯) ও বিভিন্ন লেনদেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। সে বিভিন্ন অজুহাতে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা ও মূল্যমান মালামাল নিতে থাকে। তাছাড়া, কার্গোর মাধ্যমে বাংলাদেশে তন্নি আক্তার ওরফে অনু‘র ঠিকানায় গত ৯ জানুয়ারী মূল্যবান জিনিষপত্র প্রেরণ করি। সর্বোচ্চ লুটেপুটে নেয়ার পর সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারী-২৩ইং, জানতে পারি তার মায়াবী রুপ ও প্রেমের ফাঁদে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেছে। আমার লন্ডনে বহু কষ্টে উপার্জিত জমানো অর্থ সে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিজ্ঞ আইনজীবির সাথে পরামর্শ করা হচ্ছে। অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে মামলা দায়ের করবো। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মোছাঃ তন্নি আক্তার ওরফে অনু‘র ব্যবহৃত মুঠোফোনে ০১৩০২-৪৯৩৮৫৯ যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদক এর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে জানান- আপনী লন্ডনী‘র সাথে কথা বলুন। আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে, ফোন রেখে দেন। এর পর থেকে আর যোগাযোগ সম্বব হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- তন্নি সিন্ডিকেট চক্রের টার্গেট চাকুরীজীবি ও প্রবাসী যুবক। বিশেষ করে প্রবাসীদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের প্রলোভন ও শরীরের গোপন অংশ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্র। বহু পরিবার কে করেছে ধবংস। সিন্ডিকেট চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীসহ সচেতন নাগরিক।