ইকবাল কবীর রনজু
‘ধূসর বসন্ত’ নবীন লেখক সজীব হুমায়ূনের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছের দুয়ার প্রকাশনী, ঢাকা। প্রকাশক এম হৃদয় হোসেন। প্রকাশ কাল ডিসেম্বর-২০২২। ঢাকার অমর একুশের গ্রন্থ মেলায় ৫৭০ নম্বর স্টলে উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদ করেছেন ইবনে হুসাইন। ছয় ফর্মার উপন্যাসটির মুদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা।
উপন্যাসটি প্রসঙ্গে সজীব হুমায়ূন জানান, “আমি মূলত কবিতার মানুষ। কবিতার মানুষ হলেও জীবনঘনিষ্ট কিছু চিন্তা ভাবনা আমাকে তাড়িত করে। সেই তাড়না থেকেই ২০২০ সালে ‘ধূসর বসন্ত’ উপন্যাসটি লেখা শুরু করি। মাঝে কিছু দিন লেখার কাজ বন্ধ থাকলেও শেষ অবধি আলোর মুখ দেখল।”
সমসাময়িক সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত এ উপন্যাসে লেখক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ভালবাসা, বন্ধুত্ব, মান, অভিমান, আবেগকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এ স্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বকে কতটা গুরত্ব দেয়, সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটিও সাধ্যমতো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। রাগ, জিদ একটা সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলে, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় তা কিভাবে যাতনার কারণ হয়, ভুল বুঝে মনের মানুষকে অবমূল্যায়ন করে দূরে সড়িয়ে রাখার পরিনাম যে কতটা ভয়াবহ হয় এবং তা বুকে বয়ে বেড়াতে কতটা হাঁপিয়ে উঠতে হয় তার প্রাঞ্জল বর্ণনা রয়েছে ‘ধুসর বসন্ত’ উপন্যাসে।
এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফারাবি ও ত্রয়ী। ফারাবী তার মনের গহীনে ত্রয়ীকে আগলে রেখে বছরের পর বছর লড়াই করে গেছে মনের সাথে। পাওয়া হয় নি তাকে। জায়গা করে নিতে পারেনি ত্রয়ীর মনে। ত্রয়ী তার ভুল বুঝতে পারে বটে কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ফেরার পথ বন্ধ। ফারাবীকে তার পাওয়া হবে না আর কোন দিনই। ফারাবীকে হারানোর পর ত্রয়ী যে ট্রমায় আছে তা কি সে কাটিয়ে উঠতে পারবে? ত্রয়ী কি অপেক্ষায় চৌকাঠে দাঁড়িয়ে থাকবে অনন্ত কাল?
লেখক সজীব হুমায়ূন জানান, “পাঠক যেন শেষ অবধি পড়তে আগ্রহী হয়, ঘটনার গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করে সেটা মাথায় রেখে আমি উপন্যাসটি লিখেছি। আমি আমার সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ভাল-মন্দের ‘বিচারের ভার পাঠকের।”