পাবনায় আন্দোলনরত মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেজেট-সনদ ও ভাতা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা ডায়াবেটিস সমিতির মিলনায়তনে আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই আশ্বাস দেন। এসময় শতাধিক আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টাম-লীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাবনা ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক প্রমুখ।
আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা শোনার পর বক্তব্য দেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এসময় সাবেক এই দুদক কমিশনার আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এক দল স্বার্থনেষী মহল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিবেধ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা- করে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত লজ্জাকর।’
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই মহামান্য হাইকোর্ট একটি রায় প্রদান করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাচাই-বাছাই করে গেজেট প্রকাশের পর তা আর বাতিল করতে পারবে না জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এই রায়ের পুর্ণাঙ্গ কপি বের হলে আমরা পাবনা সুবিধাবঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে সহযোগিতা করবো।’
এদিকে মতবিনিময়ের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাবনা সদর থানা সাবেক ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান রঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জববার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় আন্দোলনের নানা বিষয়ে আলোচনায় হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেজেট-সনদ ও ভাতা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়।