পাবনা প্রতিনিধিঃ
আম্মা এক প্লেট ভাত কিনে দেন সারাদিন খায়নি, ভাইয়া একটু চাউল কিনে দেন না বাসায় সবাই না খেয়ে, শহরের বিভিন্এন দোকান বাসার গলি বা রাস্তার মোড়ে এভবেই ধর্না দিচ্ছেন না বয়সী মানুষ কেউ না কেউ সারাদিনে সহযোগিতা করছেন তাদের অসহায় মুখ দেখে কিন্তু এগুলো নিয়ে তারা নিজেরা ভোগ না করে পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে রাখা মানুষ বা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে করছেন নানা রকম মাদক সেবন, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কে অনুসন্ধান করে জানা যায় এদের কারো পরিবার পরিজন নেই বা থাকলেও পরিবার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাই তারা সহজেই সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করিয়ে এসব করছেন।
বেশ কিছুদিন ধরে তিনজন মানুষ একজন টাকা তুলে একজন লিখে রাখে সে টাকা আর একজন কখনো মায়ের অসুস্থ কখনো বোনের বিয়ে, কখনো বাবার অপারেশন এসব বলে টাকা উত্তোলন করছেন মানুষ ও সহজেই এসব বিপদের কথা শুনে টাকা দিচ্ছেন কারন এসব বিষয় এ বেশির ভাগ মানুষের প্রকৃত ঘটনার খোঁজ নেওয়ার সময় নেই যার ফলে তাদের নিত্যদিন চলছে এমন কার্যক্রম।
শহরে এখন হরহামেশাই এসব লোকের দেখা পাওয়া যায়, পাবনা নতুন ব্রিজের নিচে বসবাস করা মনির(ছদ্মনাম) নামের একজন কে বেশ কিছুদিন দেখা যাচ্ছে প্রথমে নিজের পায়ের আঙুল কেটে ফেলে সেটার চিকিৎসার নামে টাকা তুলে মাদক সেবন করেন এভাবে কিছুদিন পর পায়ে পচন ধরে এখন পায়ের একটা অংশ কেটে ফেলেছে কিন্তু এভাবেই চলছে ভিক্ষাবৃত্তি, মনির এর মত আরো অনেকেই চারপাশে নেশা সহ না অপকর্মে লিপ্ত হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন
খোজ নিয়ে জানা যায় বেশিরভাগ মানুষ করছেন নানা ধরনের মাদক সেবন ও নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন, সাধারণ মানুষ কে বোকা বানিয়ে দিনের পর দিন তাদের থেকে নানা কৌশলে টাকা উত্তোলন করছেন।
এ বিষয় এ পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, এটা আসলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, কারন এখন সরকারি ভাবে জনগন নানা ধরনের সুযোগ সুভিধা পাচ্ছে, তারপরও এক শ্রেনীর মানুষ এগুলোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, প্রশাসন এর পক্ষে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। তবেই প্রকৃত ভক্তভগির সন্ধান পাওয়া যাবে।
পাবনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি, এবং এ বিষয় টা আমার নজরে এসেছে এমন অনেকেই আছেন যারা মাদক সেবন এর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করছেন আমরা খুব শিঘ্রই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।