ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
প্রতিবছরের মতো এবারেও বছরের প্রথম দিন ঈশ্বরদীর সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। বছরের শুরুতেই ঈশ্বরদীতে নতুন বই হাতে পাবে ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী। উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক স্তরে মোট বইয়ের চাহিদা ৪১ হাজার ৬৫০ সেট ও মাধ্যমিক স্তরে (মাদ্রাসা সহ) চাহিদা ৪ ল ৩৬হাজার ৭১৫ টি। উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১২ সাল থেকে শেখ হাসিনা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে বই বিতরণ উদযাপিত হয়ে থাকে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে। উপজেলার সকল প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শনিবারের মধ্যে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আকতার জানান, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৫৪ শতাংশ ও মাদ্রাসা স্তরের ৭১ শতাংশ বই উপজেলায় এসে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট বই হাতে পেলে শিগগিরই পাঠানো হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় কাগজ, কালিসহ পুস্তক তৈরির সব উপকরণের দাম লাগামহীন। এমন পরিস্থিতিতেও সরকার শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকারে দিয়ে ১ জানুয়ারি উপজেলার সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস শিক্ষা খাতে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মতায় আসার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বছরের প্রথম দিনই তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। এমনকি করোনা মহামারির সময় এবং অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের হাতে জানুয়ারির ১ তারিখে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনে ঈশ্বরদীতে বই উৎসবের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।