যেসব পুরুষদের বিয়ে করলে ঘটতে পারে বিপদ!

যদি আপনি পছন্দের সঙ্গীকে বিয়ে করতে চান, তাহলে অবশ্যই তার অভ্যাসগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নেবেন। আপনার পুরুষ সঙ্গীর মধ্যে যদি এই ৭ অভ্যাস দেখেন তাহলে তাকে বিয়ে না করাই উত্তম। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসগুলো-

  • প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গার অভ্যাস থাকে যাদের মধ্যে তারা কখনও দায়িত্বশীল হন না। এমন প্রকৃতির মানুষেরা বেশ সাংঘাতিক হন। একবার বা দুইবার নয় বারবার যদি পুরুষ সঙ্গী প্রতিশ্রুতি ভাঙেন, তাহলে তার সঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখবেন না। এ ধরনের লোকেরা মানুষকে বেশ সহজে বোকা বানাতে পারেন।
  • নিয়ন্ত্রণ করার মনোভাব অনেক নারী পুরুষের মধ্যে থাকে। তবে পুরুষ সঙ্গী যদি আপনার উপর বেশি খবরদারি চালায়- এটা খাও, ওটা পরো, এভাবে হাটো, কোথায় তুমি? ইত্যাদি প্রশ্নের বারবার মুখোমুখি হলে বুঝতে হবে তিনি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যতে এমন ব্যক্তির সঙ্গে সংসার করা আপনার জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠবে।
  • একটা সম্পর্ক থাকাকালীন নারী-পুরুষ দুজনেই একে অন্যকে গিফট দেন কিংবা বিভিন্ন সমস্যায় আর্থিক সাহায্য এগিয়ে দেন। তবে পুরুষ সঙ্গী যদি আপনার কাছ থেকেই এটা-সেটা নেওয়া আবদার করেন সব সময় তাহলে বুঝতে হবে তিনি স্বার্থপর। এমন মানুষেরা আপনার প্রয়োজন এড়িয়ে যাবে।
  • অনেকেই আছেন যারা এক‌ই ভুল বারবার করেন ও সরি বলেন। এমন পুরুষকে কখনোই বিয়ে করা উচিত নয়। একদিন বড় ধরনের অপরাধ করে এমন ব্যক্তিরা সরি বলতে পারেন। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
  • আপনার পছন্দের পুরুষ কি আপনার মতামতকে মূল্য দেয়, যদিও আপনার মতামত সবসময় তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। তবে অনেক পুরুষ আছেন যারা নারীকে মূল্যায়ন করেন না। তারা অনেকটা ডমিনেটিং হন। যদি দেখেন আপনি তার কাছে মূল্যায়ন পাচ্ছেন না তাহলে তাকে বিয়ের কথা ভাববেন না।
  • পৃথিবীতে অনেক প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী আছে। একটি বা দু’টি বিষয়ে মিথ্যা বলতেই পারে, তাই বলে তৈরি দিনের পর দিন আপনাকে মিথ্যা বলে আসে আর তা যদি আপনি টের পান তাহলে তার কাছ থেকে কেটে পড়ুন।
  • সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সবার জন্য আনন্দের। তবে আপনার পুরুষ সঙ্গী যদি সব সময় তার সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা ফোনে কথা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে তাহলে বিষয়টি নিয়ে ভাবুন। কারণ সবারই পরিবার আছে, মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বিষয় নিয়ে যদি আপনার সঙ্গে বিরক্ত বোধ করেন, তাহলে অর্থ হলো তিনি পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল নন। এমন ব্যক্তিকে নিয়ে আপনি কি ভবিষ্যৎ কাটানোর কথা ভাববেন।