আপনার সন্তানের আয়রনের ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত? চিন্তার কারণ নেই, এমন ১০টি খাবারের কথা বলবো যা আপনার সন্তানের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে। আসুন জেনে নেই…
ডিমের কুসুমঃ ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। প্রতিদিন বাচ্চার খাদ্যতালিকায় আস্ত ডিম বা ডিমের কুসুম রাখুন।
মুরগির কলিজাঃ মুরগির কলিজাতে মাংসের চেয়ে বেশি আয়রন থাকে। দুই-এক দিন পরপর বাচ্চাকে কলিজা খাওয়ান।
মিষ্টি কুমড়োর বীজঃ হাফ কাপ কুমড়োর বীজে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। কুমড়োর বীজ গুঁড়ো করে বা মিহি করে বেটে বিভিন্ন খাবারে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।
আলু ও মিষ্টি আলুঃ আলুর সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে হলে আলু খোসা সহ রান্না করুন। বাচ্চারা সাধারণ আলু বা মিষ্টি আলু এমনিই খুব পছন্দ করে। খোসাসহ আলু বেক করে বা পাতলা করে কেটে ভাপিয়ে রান্না করে শিশুকে দিন। আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি-ও আছে।
পালং শাকঃ রান্না করা পালং শাক শিশু সহজেই হজম করে নিতে পারে। পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ, ফাইবার ও ভিটামিন-ই থাকে৷ শস্যদানাঃ মসুরের ডাল, রাজমা, মটরশুঁটি, শিমের বীজ ইত্যাদিতে আয়রনের পরিমাণ পর্যাপ্ত। ছোলাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।
পিনাট বাটারঃ পিনাট বাটার শুধু খেতেই যে সুস্বাদু তা নয়, শিশুর শরীরে আয়রনের জোগান দিতেও পারদর্শী। ওটমিল বা ব্রেডের সাথে পিনাট বাটার বাচ্চাকে খেতে দিন।
কিশমিশঃ এমনিতেই বাচ্চারা কিশমিশ খেতে পছন্দ করে। হালুয়া বা পায়েস জাতীয় খাবারে কিশমিশ দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। কিশমিশে প্রচুর আয়রন থাকে।
ডার্ক চকোলেটঃ বাচ্চাদের জন্য চকোলেট সবসময় খারাপ হয় না। অরগ্যানিক ডার্ক চকোলেট আয়রনের অন্যতম ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। এতে চিনির মাত্রা কম হওয়ায় বাচ্চার দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার ভয়ও নেই।
সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য হলো চিংড়ি মাছ। এটি আয়রনের খুব ভালো উৎস। তবে চিংড়িতে বাচ্চার এলার্জি হয় কিনা সেটা খেয়াল রাখবেন।