গ্রামীণ প্রকৃতিতেই শীতের প্রকৃত রূপ ধরা পড়ে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে গ্রামের ভোর। শহরের মানুষ শীতের ভোরের সঙ্গে কম অপরিচিত। অথচ গ্রামের নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পিঠা তৈরিতে। শীত এলেই মজাদার খোলাজা পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। শীতের সকালে খোলাজা পিঠা সাথে মাংসের ঝোল; ভাবলেই জিভে জল এসে যায়। তাছাড়া খেজুরের রস কিংবা মধুর সঙ্গেও নিঃসন্দেহে মুখরোচক।
নোয়াখালীর জনপ্রিয় পিঠা খোলাজা পিঠা। চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয় খোলাজালি বা খোলাজা পিঠা। তবে হাঁসের মাংস দিয়েই খেতেই বেশি মজা। মুরগি, গরু কিংবা খাসি যেকোনো মাংসের ঝোলের সঙ্গে ছিটা রুটি পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এটি তৈরি করাও বেশ সহজ। দেখতেও যেমন সুন্দর; খেতেও তেমনই মজাদার ছিটা রুটি। চালের গুঁড়ার মিশ্রণে হাত চুবিয়ে তাওয়া বা প্যানের উপর ছিটিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ এ রুটি। যে কারণে এর নাম ছিটা রুটি। কেউ আবার ছটকা রুটি বা ছিটরুটিও বলে থাকেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ছিটা রুটি পিঠার সহজ রেসিপি-
উপকরণ
চালের গুঁড়া; ২ কাপ (১২-১৫টি রুটি হতে পারে)
পানি: ৩ কাপ
ডিম: ১টি ফেটানো
লবণ: পরিমাণমতো
তেল: পরিমাণমতো
প্রণালি
প্রথমে একটি পাত্রে লবণ ও ৩ কাপ পানিতে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন ভালোকরে। পাতলা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এ মিশ্রণের সঙ্গে ১টি ডিম ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। এ অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর একটি প্যানে তেল ব্রাশ করে চালের গুঁড়ার মিশ্রণে হাত চুবিয়ে প্যানে ছিটিয়ে দিন। আঙুলগুলো প্যানের উপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩-৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর ছিটিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে রুটি যেন পুড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে পাটিসাপটার মতো রোল করে অথবা তিন কোণা আকৃতির ভাঁজ করে তুলে ফেলুন। এভাবেই একেক করে ছিটা রুটি পিঠা তৈরি করে নিন। রুটিগুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন। মিশ্রণটি যদি জমে যাওয়ার মতো হয়; তাহলে একটু পানি মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। বানানো হয়ে গেলে ছিটা রুটির সঙ্গে ভুনা মাংস ও ঝোল, সালাদ, খেজুরের রস কিংবা নারিকেল কোরানো দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।