এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে সারাদেশে বর্ণিল আয়োজনে ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালিত হলেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স (পাকেরহাট)-এ।এই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আজ তোলা হয়নি জাতীয় পতাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর নেই কোন আয়োজন চলছে সুনসান নিরবতা।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এই কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দেখে বোঝা যায় না আজ মহান বিজয় দিবস। নব-নির্মিত এই ভবনের সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সেখানেও রয়েছে ময়লা-আবর্জনা আর পতাকা টাঙানোর স্ট্যান্ডও ফাঁকা পড়ে আছে। এই ভবনের চারপাশ গাছের পাতায় অপরিচ্ছন্ন। তবে এই ভবনের প্রথম তলায় একটি ডায়াগনস্টিককে ভাড়া দেওয়া হয়েছে শুধু তাদের কেয়ারটেকার আছে সেখানে।
জানা যায়, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) এর অধীনে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে করে প্রতিটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনের সামনেই রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনীয় ম্যুরাল। ৩তলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় করা হয়েছে মার্কেট। মূলত মার্কেটের ভাড়া দিয়ে ভবনের প্রাথমিক খরচ যোগান দিতে মার্কেট করা হয়েছে। এছাড়া ৩ তলায় রয়েছে অফিস কক্ষ, বিশাল আকৃতির একটি কনফারেন্স রুম। অফিস কক্ষে রয়েছে উন্নত আসবাবপত্রসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী উদ্বোধন করেন।
সারা বছর ভবন গুলো তালাবদ্ধ থাকে। মহান স্বাধীনতা,বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবসে স্বল্প সময়ের জন্য ভবন গুলো খোলা হয়ে থাকে। সেসময় গুলোতে শুধু কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি। যা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যাদের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম এই রাষ্ট্র তাদের নামে তৈরী হওয়া ভবনে মহান বিজয় দিবসে পালনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রয়োজন ছিল।
এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে। যা আমাদের জন্য চরম বেদনাদায়ক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার রাশিদা আক্তার মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজকের মত দিনে পতাকা উত্তোলন করতে না পারা দুঃখজনক। আমি কমান্ডারের দায়িত্ব থাকলেও পতাকা উত্তোলন করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণে যেমন প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪০ দিনের কর্মসূচীর লোক দিয়ে এটির পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।