স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার ৪৯ বছর পর চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) আটঘরিয়া পৌরসভার থানাপাড়া গ্রামের প্রসূতি মা হাসিনা খুতুনের সিজারের মাধ্যমে এই অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম চালু করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুলাহ-আল- আজিজ।
জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়। ২০১৬ সালে প্রায়ত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির প্রচেষ্টায় ৫০ শয্যায় উন্নীত করে চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়। আধুনিক মানের দুটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও যন্ত্রপাতি ও লোকবলের অভাবে অস্ত্রোপচার হচ্ছিল না। সামান্য অপারেশনের জন্য যেতে হতো রোগীদের জেলা সদরে বা প্রাইভেট ক্লিনিকে।
এ বিষয়ে প্রসূতির স্বামী ইকবাল হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পর এই প্রথম আমার স্ত্রীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে স্ত্রী ছেলে সন্তান প্রসবের মাধ্যমে চালু করায় খুব খুশি। তবে অপারেশন না থাকায় প্রসূতি মায়েরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল বলে জানান তিনি।
আনুষ্ঠানিক ভাবে আয়োনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতপাবনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, ছিলেন পাবনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তানভীর ইসলাম, আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার মাসু।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুলাহ-আল-আজিজ এতে সভাপতিত্ব করেন।
অপারেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীন ফেদ্দৌস শানু, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ কাউসার আহম্মেদ, সহকারী সার্জন সুব্রত চন্দ্র মন্ডল, ডা. তৌফিক এলাহী ও ডা. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুলাহ-আল-আজিজ বলেন, অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে উপজেলার হাজার হাজার প্রসূতি মায়েরা বিনা মূল্যে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারির সুবিধা পাবেন। এতে প্রসূতি মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা দেওয়া হবে।
এদিকে গাইনি সার্জারির পদায়ন না থাকায় আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে সিভিল সার্জনের নির্দেশে গাইনি সার্জারির চিকিৎসক দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে। সপ্তাহে একদিন সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হবে। গাইনি ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ যোগদান করলে অপারেশন করা হবে।