কালিহাতীতে সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়ক নেই,বাঁশের সাঁকোই ভরসা 

কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু খালে ভেঙে একপাশে দেবে আছে দুই বছর ধরে। 

সেই সঙ্গে বন্যায় সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটিও স্রোতে ভেসে গেছে। সেতুটি নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। 

জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কোকডহরা ইউনিয়নের বলধী পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঠাকুরবাড়ি সামনে খালে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।  সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয় মোট ১৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫২ টাকা। 

 কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে বাঁশের সাকো বানিয়ে সেতুতে উঠে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

 যানবাহন নিয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের আয়তনের তুলনায় সেতুর দৈর্ঘ্য অনেক কম ছিল। সেতুটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অপরিকল্পিতভাবে হওয়ায় শুরু থেকে

প্রতি বছর সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটি পানির স্রোতে ধসে যায়।

সরজমিনে দেখা যায়, খালের ওপর নির্মিত সেতুটির পশ্চিম পাশে একপাশে ভেঙে দেবে গেছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে। 

মানুষের যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে  নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। এতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষ। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের রানীহাটি, বলিখন্ড,  মহিষজোড়া, বলধী  এলাকার প্রায় ৮ হাজারের অধিক মানুষ। 

এবিষয়ে কালিহাতী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সেহাব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। বন্যায় খালে পানির প্রবল স্রোতে সেতুর নিচে এবং দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।