নাটোর প্রতিনিধি
দেশব্যাপী সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে দেশব্যাপি সাইকেল ভ্রমনের কর্মসূচিতে ২৮ তম জেলা হিসেবে নাটোরে এসেছেন ১৯ বছর বয়সী তরুন অলি সাব। বৃহ¯পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নাটোরের জেলাা প্রশাসক শামীম আহমেদের সঙ্গে বই পড়া বিষয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
দেশের ২৭ জেলা ঘুরে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নাটোরে পৌঁছান তিনি। এটা তার ২৮তম জেলা। সোমবার সারা দিন তিনি শহরের শিক্ষার্থীদের বই পড়ার দাওয়াত দিয়েছেন। দেখা করেছেন শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। আগামীকাল শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি নাটোর শহরে একটি রেস্তোরাঁয় ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশন নাটোর সদর উপজেলা উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০২২ এ যোগ দেবেন। সেখানে উপস্থিত প্রায় দেড় শতাধিক উদ্যোক্তার সামনে তার বই পড়ার আন্দোলন বিষয়ে বক্তব্যে দিবেন । পরে দুপুরে নাটোর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ৬৪ জেলায় বইপড়া আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। গত ২০ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে নেত্রকোনা থেকে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া হয়ে নাটোরে পৌঁছান। অলি সাবের বাবা সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার বালিজুরী গ্রামের কৃষক লুৎফুর রহমান। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কিশোরগঞ্জ জেলার জেড রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন।
অলি সাব জানান, ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী গ্রামে সহপাঠীদের নিয়ে একটি বুকক্লাব গঠন করেন তিনি। এরপর তিনি কলেজের পাশেই আরেকটি বই লাইব্রেরি গঠন করেন। প্রতিনিয়তই তার লাইব্রেরিতে শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ বইপ্রেমী মানুষ বই পড়ছেন। পরবর্তীতে বই পড়ার সচেতনতার সৃষ্টিতে ৬৪ জেলায় ভ্রমণের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। নাটোরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বই পড়ার বিষয়ে কথা বলেছি। পাঠ্যবইয়ের বাইরে তেমন কেউ বই পড়েন না। তারা অনেক আমার এ আন্দদোলনে উৎসাহ হচ্ছেন। সব জেলা থেকেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি। এতে আমার যে বইপড়ার আন্দোলন, তা অনেক সহজ হচ্ছে । প্রতিটি ঘরে ঘরে বই পড়ার শখটা যেন পৌঁছাতে পারি।