মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে কুলাউড়া থানার মডেল মসজিদের ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য দায়েরী রিট মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারের প্রতি রুল জারি করেছেন গত ২৭ নভেম্বর। জমির মালিক চারা এবং দোকান ভিটা হিসাবে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে ক্ষতিপুরন প্রদান করার জন্য দরখাস্থ প্রদান করিলেও জেলা প্রশাসক এর অফিস উক্ত ক্ষতিপুরন না করে পুনরায় ৮ ধারায় ক্ষতিপুরনের টাকা গ্রহন করার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে, জমির মালিকগন তাদের জমির ক্ষতিপুরন চারা হিসাবে মুল্যায়ন করে প্রদান করার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে ১২১০৮/২২ ইং রিট মামলা দায়ের করেন। উক্ত রিট মামলায় গত ২৭ নভেম্বর ১৭ নং আদালতের মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং মো: আক্তারাজ্জামান এর বেঞ্চ উক্ত মামলায় ২ সপ্তাহের মধ্যে জাবাব প্রদানের লক্ষ্য জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার এর প্রতি রুল জারি করেন। জানা যায়- সারা দেশে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরকারের মডেল মসজিদ প্রকল্পের আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার জন্য জায়গা নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসকের অফিস মৌলভীবাজার। উক্ত মডেল মসজিদের জমির এস এ ৭৩ নং খতিয়ানের এস এ ১৩৪৪ নং দাগের মধ্যে ১৩.০০ শতক জমির মালিক ইয়াসিন আলী এবং রোখেয়া খানম। সুত্র জানায়, জেলা প্রশাসক উক্ত জমি এল এ মামলা নং-১৮/১৮-১৯ মুলে জমির রকম সাইল হিসেবে অধিগ্রহন করেন এবং বিগত ২৩/০১/২০২০ ইং তারিখে ৭ ধারা অধিনে নোটিশ প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে, জমির মালিকগন বিগত ১২/০২/২০২০ ইং তারিখের উক্ত নোটিশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান। জমির মালিকের আপত্তি করেন যে, সরকার তাদের জমি এস এ খতিয়ান মোতাবেক সাইল হিসেবে জমির দাম নির্ধারন করে ক্ষতিপুরনের টাকা গ্রহন করার জন্য নোটিশ প্রেরন করেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উক্ত জমি আর এস চুড়ান্ত খতিয়ান নং-৩৮৬ আর এস দাগ নং-৯২৮ মোতাবেক চারা রকম এবং বাস্তবে কিছু জমি দোকান ভিটা যাহার মুল্য সাইল রকম জমির চেয়ে দ্বিগুন।