পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় ৭দফা দাবিতে আন্দোলনরত বীর মুক্তিযোদ্ধােদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন পাবনা – ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
শত ব্যাস্ততার মধ্যেও বীর মুক্তিযোদ্ধােরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ নবেম্বর সকাল ১০ টায় তার নিজ বাসভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সভায় আন্দোলনরত জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে পাবনার পশ্চিম অঞ্চলের
কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রথমে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জববার।পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ সাইদুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম রেজা,
বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্জুর রহমান মন্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী মন্জু,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাবনা সদর উপজেলার সাবেক ইউনিট কমান্ডার আলহাজ্ব আবুল কাশেম বিশ্বাস প্রমৃখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা মতবিনিময় সভায় বক্তব্যদান কালে পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
৭দফা দাবিগুলো হলো, পাবনা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই -বাচাই কমিটি থেকে পাবনা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলুর নাম প্রত্যাহার করে নিতে হবে,
পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট হতে জোর পৃর্বক চাঁদা আদায় বন্ধ করতে হবে, ২০১৪ সালে অনলাইনে আবেদন কৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং ২৪২ জনের নামে অভিযোগ কৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ২০১৬ সালে যাচাই – বাচাইকুত তালিকা অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে, পাবনার বিভিন্ন বৈধ গেজেট ভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে জামোকায় আবেদন কৃত যাচাই -বাছাই ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পাবনার চাঁদবাজ ও দুর্নীতিবাজ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলু চক্রের ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট – সনদ বাতিল আদেশের গেজেট ও ভাতা বন্ধের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, মহামান্য হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট এর আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে সকল রকম বে- আইনি পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতি বাজ মুক্তি যোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলু সহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জোর দাবি,এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দান কালে বলেন, আমরা ১ নভেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছি, পর্যায় ক্রমে ৩ নভেম্বর পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপুর্ন অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেছি। ৬ নভেম্বর পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছি, ১২ নভেম্বর পাবনার আবদুল হামিদ স্বরকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনে শান্তিপুর্ন ভাবে মানব -বন্ধন কর্মসুচী পালন করেছি। এছাড়াও আমরা ২৬ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবুর নেতৃত্বে ৯টি উপজেলার মুক্তি যোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করেছি।সকল ইউনিটের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের চলমান ৭ দফা দাবির প্রতি একাত্নতা ঘোষণা করেছেন।আমরা এদিন বিকেলে পাবনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ কালিন সময়ের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছি, তিনিও আমাদের চলমান ৭ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে পাবনা- ৫ আসনের সংসদ সদস্য গভীর মনযোগ সহকারে দাবিগুলো শোনেন।এরপর তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চলমান শান্তিপুর্ন আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন।