প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছিলেন, আমরা সেভাবে যাত্রা শুরু করেছি। দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়ে এনেছি। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশ আর দরিদ্র থাকবে না। আমরা দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছি।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যেটুকু আছে, নিজেদের সম্পদ আমরা ব্যবহার করার সক্ষমতা রাখি। আমি দেশবাসীকে আহ্বান করেছি, যার যেখানে জমি-জলাধার আছে উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করবো। কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। সেই নীতি নিয়ে সবাইকে চলার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। বাংলাদেশ যে পারে, পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি। নির্মাণকাজে সহযোগিতা করেছিল চীন। তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বলসহ অর্থনীতি গতিশীল হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।
এছাড়া পতেঙ্গা প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিন মিং, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলীতে দেশের প্রথম এ টানেল নির্মিত হচ্ছে। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন আছে মেগা প্রকল্পটি। টানেলে দুইটি টিউব আছে। প্রকল্পের গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে চালানো হচ্ছে। নদীর তলদেশে হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য পানি জমতে পারে, এমন আশঙ্কায় বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচপাম্প। নদীর তলদেশে স্থাপন করা দুটি টিউবের একটিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিকল্প পথে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা রাখতেও কাজ চলছে।