ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
রাশিয়ার সচি শহরে আয়োজিত পরমাণু শিল্প বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন এটমএক্সপো ২০২২ এর সমাপনী দিনে ‘নীল অর্থনীতিঃ টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে সরকার, ব্যবসা ও বিজ্ঞান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা ব্ল ইকোনমিকে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ অর্থনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। গত ২১ ও ২২ নভেম্বর দুই দিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক এটমএক্সপো ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়। রসাটমের গণমাধ্যম ২৩ নভেম্বর রাতে আন্তর্জাতিক এটমএক্সপোর খবর জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক এটমএক্সপোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তা, রূপপুর পারমাণবিকের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, পরমাণু বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহন করেন।
ব্ল ইকোনমিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে প্রথাগত এবং উদীয়মান বেশ কিছু শিল্প যেমন জাহাজ চলাচল, নৌ ও সমুদ্রবন্দও অবকাঠামো, জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত, মেরিন কন্সট্রাকশন ও ড্রেজিং, সমুদ্রবর্তী গ্যাস ও তেল আহরণ, মেরিন গবেষণা ও শিক্ষা, ফিশিং, সী-ফুড প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে। ব্ল ইকোনমির ওপর ৩০০ কোটির ওপর লোক কম-বেশি নির্ভরশীল এবং এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ক্রমবর্ধমান এই অর্থনীতির আকার ২০৩০ সাল নাগাদ ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছুবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গোলটেবিল বৈঠকে রাশিয়া, মিশর, ভারত, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষজ্ঞরা সমুদ্র অর্থনীতির ভবিষ্যৎ রূপরেখা, চ্যালেঞ্জসমূহ, এবং এর উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা সমূদ্র অর্থনীতির বৈশ্বিক এবং আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতি তুলে ধরেন এবং অভিমত ব্যাক্ত করেন যে সরকার, ব্যাবসা ও বিজ্ঞানের জন্য এটি একটি সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রনায়লের অধীনস্থ বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক নাতালিয়া স্টাপরাণ এবং মস্কোর লামানোসভ স্টেট ইউনিভার্সিটির মেরিন গবেষণা সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক নিকোলাই সাবালিন, ব্ল ইকোনমির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, জল প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন ও ডিজিটাল দিকগুলো উপস্থাপন করেন।
মিশরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটি অফ ওশেনোগ্রাফি এন্ড ফিশারিজের অধ্যাপক মোহামেদ আহমেদ বলেন, ব্ল ইকোনমিতে বিনয়োগকালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মেরিন ইকোসিস্টেমের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাটা অত্যন্ত জরুরী”। তার মতে পরিবেশ কেন্দ্রিক সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করা আবশ্যক।