ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিস্ফোরণের অভিযোগ করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। আলহাজ্ব টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ছয়টি অবিস্ফোরিত ককটেল, লোহার এঙ্গেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনা ‘সাজানো নাটক’ বলে দাবি করেছে বিএনপি। থানার এসআই শিতল কুমার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম বলেন, ২২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাশকতার উদ্দেশ্য বিএনপি নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে ল্য করে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ধাওয়া করলে সকলে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি তাজা ককটেল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে নামীয় ও ১৫০/১৬০ অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।
আসামীরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুলভ মালিথা, পৌর যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদস্য সচিব মেহেদি হাসান।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন বলেন, ২২ নভেম্বর রাতে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কোনো বৈঠকই ছিল না। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনাও অবান্তর। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিতে না পারে সেজন্য মামলা দায়েরের মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করা করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে এটি গায়েবি মামলা।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানের বিঘ্ন ঘটাতে এটি একটি পরিকল্পিত ও সাজানো মামলা।