মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর গান্দিগাও এলাকায় স্লূইস গেইট নির্মানের দাবি আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
কালঘোষা নদীর গান্দিগাঁও এলাকায় একটি স্লূইস গেইট নির্মানের দাবি এলাকার কৃষকদের দীর্ঘ দিনের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মানের দাবি উঠে কৃষকদের পক্ষ থেকে । গান্দিগাঁও গ্রামের কৃষক দুলাল মন্ডল, নওকুচি গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখানে একটি স্লূইস গেইট না থাকায় যুগযুগ ধরে এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমি অনাবাদি থাকে।
এসব জমি আবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে এখানে একটি স্লূইস গেইট নির্মানের জন্য জরিপ কাজ শুরু করে এলজিইডি। ইতিমধ্যে জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জাইকার অর্থায়নে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ স্লূইস গেইটটি নির্মানের জন্য প্রস্তাব ও প্রেরন করা হয় বলে জানান স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এখানে স্লূইস গেইট নির্মান স্থানের দুপাশে বনবিভাগের জমি ও বন থাকায় এখানে স্লূইস গেইট নির্মান করা হলে বনের ক্ষতি হবে। এ অজুহাতে বনবিভাগ স্লূইস গেইট নির্মানের বিরোধিতা করে আসছেন।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আনার উল্যাহ,উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশী, আওয়ামীলীগ নেতা উমর আলী, ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন, এনামূল কবির মানিকসহ আরো অনেকেই বলেন, এ নদীর উপর একটি স্লূইস গেইট নির্মান করা হলে, গান্দিগাঁও হালচাটি, নওকুচি, বাকাকুড়া, ফুলহারি ও ডেফলাই গ্রামে সেচ সুবিধার অভাবে অনাবাদি হয়ে পরে থাকা ২ হাজার একর জমি আবাদের আওতায় আসবে। কৃষকদের অনাবাদি জমিগুলো একাধিক ফসল উৎপাদনের সুযোগ সুবিধা হবে। এতে কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে ঘটবে বিপ্লব।
এলজিইডি’র শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে স্লূইস গেইট নির্মান করা হলে বনের কোন ক্ষতি হবে না বরং প্রান বৈচিত্রের উন্নয়ন সাধিত হবে।