মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ র্যাব-৯, সিলেট এর অভিযানে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত বিএনপি নেতা আ.ফ.ম, কামাল হত্যা মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানাধীন নোয়াখালী বাজারস্থ নুরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী সিলেট এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা আ/এ এলাকার মাসুক @ মাসুক চিটার এর পুত্র মিশু (২৬), ও ৬ নং আসামী গোয়াইপাড়া (গুয়াইপাড়া,বড় বাজার) এলাকার মৃত নুর মিয়ার পুত্র মনা (২৫)। আজ ১০ নভেম্বর গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি‘র মাধ্যমে র্যাব-৯ জানায়- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছে। হত্যাসহ যেকোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ৬ নভেম্বর ভিকটিম আ.ফ.ম কামাল চৌকিদেখী হতে প্রাইভেটকারে করে বালুচরস্থ তার বাসায় যাবার পথে আম্বরখানা বড়বাজারস্থ এম.এ মঞ্জিল, ১১৮ নং বাসার সামনের রাস্তায় পৌছালে ধৃত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রাইভেটকারের গতি রোধ করে প্রাইভেটকারের দরজা খুলে গাড়ীর ভিতর চালকের আসনে বসে থাকা অবস্থায় তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আক্রমন করে। আক্রমনের ফলে ভিকটিম মারাতœক জখম প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে, ভিকটিমকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যপক আলোচিত হয়। উক্ত ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে র্যাব-৯ গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট এর একাধিক আভিযানিক দল গত ০৯ নভেম্বর ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের এসএমপি-সিলেট এর এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।