সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়া শহরে দিনদুপুরে কুপিয়ে আহত হওয়া শিক্ষানবীশ আইনজীবী আব্দুল বারী চাঁন ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে শনিবার সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির এএসআই রকিবুর হাসান। তিনি জানান, দুর্বৃত্তদের দায়ের কোপে আব্দুল বারীর মাথায় গুরুতর জখম হয়। হামলার পর থেকেই তিনি
শজিমেকের আইসিইউতে ছিলেন। পরে শনিবার সকালে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বগুড়া শহরের কলোনী চকফরিদ এলাকায় শিক্ষানবীশ আইনজীবী আব্দুল বারীর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
আব্দুল বারী চাঁন ওই এলাকার চকফরিদের মৃত কবেজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বগুড়া জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জমিজমার বিরোধের জেরে আব্দুল বারীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলাও হয়েছে। মামলার বাদী আব্দুল বারীর স্ত্রী রুনা আক্তার।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা বলেন, হামলার ঘটনায় ওই দিন রাতে আব্দুল বারীর স্ত্রী রুনা আক্তার একটি মামলা করেছেন। হামলার কারণ হিসেবে জমিজমার বিরোধকে উল্লেখ করেছেন তিনি। মামলায় পাঁচ জনের নামসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে হামলার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক বাবু কুমার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ নভেম্বর আব্দুল বারী আদালতে যাওয়ার জন্য সকালে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে প্রায় ৩’শ গজ যাওয়ার পর তিন জন হামলা চালায় তার ওপর। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুল বারীকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মুমূর্ষ অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে।