লালমনিরহাট. প্রতিনিধি।
ভাগিনার সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছরের প্রেম মামির, পরে তা দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। এর আগে ধরা খেয়ে শালিস বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও তাদের যুগল প্রেম দমানো যায়নি, কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না ভাগিনা লাজু । স্থানীয়দের হাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
লাজু ইসলাম জগতবেড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড হেলারটারী বাবুল হোসেনের পুত্র বলেও জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পশ্চিম জগতের ২ নং ওয়ার্ড মেসের ডাঙ্গা এলাকায়।
এলাকাবাসী লাজু ইসলাম কে মামির থাকার ঘরে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করে ।
জানা যায়, দীর্ঘ ১২ বছর আগে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট অফিজ উদ্দিনের মেয়ে রুপালি আক্তারের সঙ্গে জগৎবেড় ইউনিয়নের সাহাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুইটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে, লাজু ইসলাম রুপালি বেগমের ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতো । প্রাইভেট পড়ার সুবাদে কিছুদিন পর মামির ওপর নজর পড়ে ভাগিনার (লাজু )। রূপালী বেগমের স্বামী, সাহাজুল ইসলাম পাটগ্রামের বাইরে ৬ মাস ধরে কাজ করার সুবাদে এই সুযোগ কাজে লাগায় লাজু ইসলাম ।এরপর তার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করান মামিকে (রুপালি)। ভাগিনার প্রলোভনের কারণে এক পর্যায়ে ভাগিনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মামি। এরপর প্রতিদিন তার সঙ্গে রাত যাপন করতে থাকেন লাজু ইসলাম। বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে একাধিকবার বিচার সালিসও হয়। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক চলতেই থাকে।
এ বিষয়ে জগৎবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি শুনে তারপরেই দিন সকালে (শনিবার) এসেছি এবং সন্ধ্যায় ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় আপাতত মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি ও অভিযুক্ত ছেলেটিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে রূপালী বেগমের স্বামী সাহাজুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন তিনি আর ঐ স্ত্রীর সঙ্গে ঘর সংসার করবেন না। এ ব্যাপারে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী লাজুর মুঠো ফোনে একাদিকবার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি ।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।