ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ক্রমেই তার শক্তি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে প্রবল বেগে বইছে দমকা হাওয়া। বৃষ্টিপাত বাড়ছে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সারা দেশে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা মেনে চলতে সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নৌ-চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে যেসব জাহাজ অবস্থান করছে, সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এদিকে, সোমবার সকালে আবহাওয়ার ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।