পাবনা শহরের হাজী মহসিন রোডে নির্মিতব্য সাত তলা ভবন হেলে যাওয়ার অভিযোগ : আশপাশের ভবনে ফাটল : জনমনে আতংক

পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা শহরের হাজী মহসিন রোডে পাশের হাজী আব্দুল গনি রোডস্থ (অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমানের বাড়ির বিপরীতে) নির্মিতব্য একটি সাত তলা ভবন হেলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ঐ ভবনের আশপাশের আরও চারটি ভবনে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে স্থানীয় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। অনেকে ঐ রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, পাবনা শহরের হাজী মহসিন রোডের মৃত ওমেদ আলীর ছেলে পাবনা কলেজের লাইব্রেরিয়ান মো. আতাউর রহমান রতন ও তার ছোট ভাই আব্দুর রহমান মানিক “রহমান ম্যানসন” নাম দিয়ে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশের উপর একটি সাত তলা ভবন নির্মাণ শুরু করেন। ঐ ভবন নিমার্নের সময় পাইলিং করা হলেও পাইলিং স্থায়ী বা শক্ত হওয়ার আগেই তারা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে করে সাত ভবন হেলে পড়েছে বলে এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেছেন।
সুত্র জানায়, বালু পাইলিং করার পর তা ভিজিয়ে কমপক্ষে তিন মাস ফেলে রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে তার কোন কিছুই করা হয়নি। ফলে সাত তলা পর্যন্ত নির্মানের পর আশপাশের মো, হাফিজুর রহমান, জাহিদ হোসেন জামিম, সাইদুর রহমান ও বাদশা বিশ্বাসের ৪টি ভবনের একাধিক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।  
ভবনের পাশের বাসিন্দা মো, হাফিজুর রহমান জানান, রতন ও মানিক তরিঘরি করে “রহমান ম্যানসন” নাম দিয়ে ভবনের মালিক দোতালা পর্যন্ত দোকানের পজেশন বিক্রি করেছেন। কোন প্রকান গৃহ ঋৃণ ছাড়াই এত বড় ভবন নির্মাণ করায় বিষয়টি দুর্নীতি কমন কমিশনের তদন্ত করা উচিত বলে তিনি মত দেন।
ভবনের পাশের আরেক বাসিন্দা মো. সাইদুর রহমান জানান, শুধুমাত্র দোকান বিক্রি করার জন্য তরিঘরি করে কম দামের ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে বাড়ী বানানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই সাততলা ভবনের ভাড়ে তার ভবনের অনৈক জায়গায় ফাটল ধরেছে।  
ভবনের পাশের আরেক বাসিন্দা জাহিদ হোসেন জামিম জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে ভবন মালিক ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ভয়ে আছি কখন যেন ভবন ধসে পড়ে।
ভবনের পাশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ফোরকান রেজা বাদশা বিশ্বাস জানান, তিনি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি টাইলসের শো-রুম করেছেন। সেই শো-রুমের ১২ জায়গায় ফাটল ধরেছে। সাততলা ভবনের ভাড়ে ও চাপে আমার একতলা ভবনের ছাদ তিন ইঞ্চি দক্ষিণে সরে গেছে। যে কোন সময় বড় অঘটন ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া নির্মিতব্য রতনের ভবন সামনে হেলে গেছে। যা দেখলে এক নজরে সবাই বুঝতে পারবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো, আতাউর রহমান রতনের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার ছোট ভাই আব্দুর রহমান মানিক তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আশপাশের লোকজনের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।