বাপাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা অপচয়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নির্দেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সরোয়ার জাহান সুজনের রহস্যজনক আচরণ। তার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। সুত্র জানায়, বাপাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজনের রহস্যজনক আচরণের কারণে পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী উদ্ধার কাজে সরকারের বরাদ্দকৃত ৮ কোটি১৯ লাখ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। মন্ডলপাড়া ব্রিজ থেকে লাইব্রেরিবাজার হয়ে শ্মশানঘাট পর্যন্ত নদীর দু‘পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদী খনন করার জন্য ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২১ সালের জুলাই থেকে কাজটি শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ । সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখায়ে কাজটি যথাসময়ে শেষ করেননি তিনি। উচ্ছেদ অভিযানেও তার অনিহা। উচ্ছেদ কার্যক্রমে পানিব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখায়ে শুরুতে ১ টি ভ্যেকু দিয়ে কাজ শুরু করেন। যেখানে পানিব্যবস্থাপনার সুপারিশ ছিলো কমপক্ষে ১০ টি ভ্যেকু দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে। একদিকে তার রহস্যজনক কার্যক্রমে পাবনাবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনেকে বলছেন, অর্থের লেনদেনে বন্ধ হয়ে গেছে উচ্ছেদ এবং খনন কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এমন কমকার্ন্ডে পাবনাবাসী হতাশ। হতাশ আন্দোলনকারীরা। খননের নামে সরকারি অর্থ নয় ছয় । মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি নদীর সীমানা নির্ধারন এবং সীমানা পিলার বসানো কাজ আজও করা হয়নি। এ সব রহস্যজনক কমকান্ডের বিরুদ্ধে অভিলম্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বাপাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন জানান, খনন কাজে সংশ্লিস্ট ঠিকাদারের সাথে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে মাত্র ৭৫ লক্ষ টাকার খনন কাজ হয়েছে। উচ্ছেদ কাজে ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার চুক্তি হয় অপর ঠিকাদারের সাথে। এ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকার উচ্ছেদ কাজের জন্য বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেস্টা করছি। খনন কাজের জন্য ঠিকাদারের সাথে পুনরায় চুক্তি করা হবে আগামী জুন/২৩ এর মধ্যে খননের বাকী কাজ সমাপ্ত করা হবে। উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার কারনে উচ্ছেদ কাজ বন্ধ রয়েছে। মামলা নিস্পত্তির জন্য চেস্টা করা হচ্ছে। মামলার নিস্পত্তি হলে কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া সীমানা পিলার বসার কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন বলেন, পাবনার উন্নয়নে কোন ছাড় নয়। ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো ইনশ আল্লাহ।