ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলা, প্রতিবাদে স্কুল বন্ধ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যালয়ে বহিরাগত যুবকরা ঢুকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মারধর করার ঘটনায় বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমিতে আজ বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’দিন আগে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় বুধবার সাড়ে এগারোটার দিকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়ে ভেড়ামারা গ্রামের পারভেজ, গোলাম ফারুক, আকাশ, রনি, মাইনুল ও বাবুসহ ১৫-২০ জন যুবক দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজীবকে স্কুলের সামনে মারধর শুরু করে। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা ওই শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে গেলে বহিরাগত যুবকরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুইজন শিক্ষক আহত হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে বহিরাগত যুবকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার নেতৃত্ব দেওয়া গোলাম ফারুক স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে ও রনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি টুকু আহমেদের ভাতিজা। এদিকে এই ঘটনায় বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বারবার থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। পরে শিক্ষকরা ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘক্ষণ থানার ওসিকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ এ ফোন দেওয়া হয়। একই সাথে ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই তাহেরকে ফোন দেওয়া হয়। এরপর প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ আগে আসলে এমন বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব হেদায়েতুল হক জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের পাঠদান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বিট অফিসার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, ফোন না ধরার বিষয়টি মিথ্যা। শিক্ষকদের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিট অফিসার এসআই তাহেরকে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমি ছুটিতে আছি।