কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি যোগদানের পর থেকেই বিশ^স্ত দালালদের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ওআইডি নাম্বারের সংকেত না দিলে পাসপোর্ট ফাইল জমা হয়না। আর এই সংকেতের প্রতি ফাইলে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২’শ টাকা। প্রতিদিন ৪’শ থেকে ৫’শ ফাইল জমা হলে স্থানীয়দের বিশেষ অনুরোধে ১০ থেকে ১৫ টা ফাইল পাস হলেও বাকীসবগুলো ফাইল টাকার বিনিময়ে পাস হয়।
এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক নাজমুল আহসান। এই সিন্ডিকেট তৈরি করে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে দালালদের মধ্যে গুঞ্জণ রয়েছে।
গুঞ্জণ রয়েছে তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের দিয়ে চ্যানেলের এই সিন্ডিকেটটি পরিচালনা করে থাকেন। প্রতিদিন সকাল থেকে যাদের ওআইডি নাম্বারের সংকেত থাকে তাদের ফাইল জমা হয়। বাকীদের প্রাইভেট সার্ভিস পেশার সনদ নিয়ে আসতে বলে। শিক্ষিত লোক থাকলে কয়েবার গুরাঘুরি করার পর জমা নেন। অনেকে বিরক্ত হয়ে চ্যানেলের মাধ্যমেই জমা দেন।
সরেজমিনে একাধিক পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, খুব ভোরে এসে লাইনে দাড়িয়ে জমা দিছিলাম, পেশা প্রাইভেট সার্ভিস দেখে ভুল ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কিকরবো পরে টাকার বিনিময়ে জমা দিয়ে দিলাম।
নামপ্রকাশে একাধিক দালাল জানায়, আমরা ব্যাংক ড্রাফ ও ফরম পুরণ বাবদ ৩’শ টাকা নেই। পুলিশ ভেরিফেকিশনও লাগেনা অথচ ফিঙ্গার দিতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের উপসহাকারী পরিচালক নাজমুল আহসানকে ১৫’শ থেকে ১২’শ টাকা করে দিতে হয়। না দিলে ভুল ধরে ফাইল ফেরৎ দেয়। তারা আরো জানায় ওই নাজমুল এভাবে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কেউ যেন দেখার নেই।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক নাজমুল আহসানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা ও হোয়াটঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা লিখেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
