রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া ঔষধ উদ্ধারসহ গ্রেফতার ৪

রাজশাহীতে ছিনতাই হওয়া আংশিক ঔষধ উদ্ধারসহ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত হিলেন, অটোরিক্সা চালক মহানগরীর বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম (৩৪), তার সহযোগী ও ছিনতাকারী বড়বনগ্রাম এলাকার কার্তিক চন্দ্র সাহা (৪৫), নাটোর সদরের হুগলবাড়িয়া এলাকার শিমুল হোসেন (৩০) ও পাইকপাড়া এলাকার সমীর উদ্দিন (৩৮)। এ গ্রেফতারে বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে সংম্মেলন করা হয়। এসময় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২১ মার্চ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মেহেদী হাসান মহনগরী থেকে প্রায় ১,৭০,০০০ টাকার ঔষধ ৩ টি কার্টুনে করে চাঁপাই নবাবগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার জন্য অটোরিক্সায় সিটি বাইপাসের দিকে যাওয়ার পথে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর ভাটাপাড়া নির্মানাধীন শিশু হাসপাতালের কাছে পৌছালে রিক্সা চালক বলে, তার রিক্সা নষ্ট হয়েছে একটু ধাক্কা দিতে হবে। মেহেদী হাসান অটোরিক্সা থেকে নেমে রিক্সা ধাক্কা দিতে থাকে এমন সময় অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ব্যক্তি যার মধ্যে একজনের বয়স ৪৫ বছর সে মেহেদী হাসান (২৮)কে ধাক্কা দিয়ে এবং তার হাতের মোবাইলটি নিজেই ফেলে দিয়ে মেহেদী হাসানকে গালিগালাজ করতে থাকে। মেহেদী হাসান তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পকেট হতে চাকু বের করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে সেখান হতে চলে যায়। এর ফাঁকেই অটোরিক্সা চালকসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পূর্ব পরিকল্পনামতে ঔষুধ গুলো ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এর প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত দস্যুতার মামলা হয়। মামলা পরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশে আরএমপি’র স্থাপিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেন এবং অভিযুক্ত অটোরিক্সা চালকসহ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরপর অটোরিক্সা চালকসহ ৩ ছিনতাইকারীকে সনাক্তকরে ৩০ মার্চ দুপুর ২টায় অটোরিক্সা চালক রেজাউল করিম কে বহরমপুর হতে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ছিনতাকারী শ্রী কার্তিক চন্দ্র সাহা(৪৫)কে রাজশাহীর বড়বনগ্রাম, মোঃ শিমুল হোসেন(৩০)কে নাটোরের হুগলবাড়ীয়া ও মোঃ সমীর উদ্দিন (৩৮)কে নাটোরের পাইকপাড়া নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৪০,০০০ টাকার মূল্যের ঔষধের আংশিক উদ্ধার করা হয়।